শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য, বিতর্কে রাহুল
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুল গান্ধী এম ফিল পড়তে ঢুকেছিলেন 'রাউল ভিঞ্চি' নামে। এটা স্বাভাবিক। কারণ কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা দুনিয়া থেকে ভিভিআইপি-রা পড়তে আসে। তাই মিডিয়ার উৎপাত এড়াতে তাদের ছদ্মনামে ভর্তি করানো হয়। রাহুল গান্ধীকে ওই নাম দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিতর্ক অবশ্য অন্য জায়গায়। নির্বাচন কমিশনকে তিনি জানিয়েছেন, কেমব্রিজে তিনি 'ডেভেলপমেন্টাল ইকনমিকস' নিয়ে পড়াশুনো করেছেন। অথচ বাস্তবে তা ছিল 'ডেভেলপমেন্টাল স্টাডিজ'। তিনি বলেছেন, ১৯৯৫ সালে এম ফিল পাশ করেছেন। বাস্তব হল, তিনি ২০০৫ সালে এম ফিল উত্তীর্ণ হন।
মজার ব্যাপার, রাহুল গান্ধী কিন্তু আদৌ পড়াশুনোয় ভালো ছিলেন না। ৬০ শতাংশ নম্বর পেলে যেখানে পাশ, সেখানে এম ফিলের তিনটি পেপারে টেনেটুনে পাশ করেছেন। একটি পেপারে ডাহা ফেল। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পত্রে যথাক্রমে পেয়েছেন ৬৫, ৬৭ ও ৬৬ শতাংশ নম্বর। চতুর্থ পত্র অর্থাৎ 'ন্যাশনাল ইকনমিক প্ল্যানিং অ্যান্ড পলিসি'-তে পেয়েছেন ৫৮ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে অনুরূপ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনকে তিনি জানিয়েছিলেন, ১৯৬৫ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত লেনক্স কুক স্কুল থেকে ইংরেজি নিয়ে পাশ করেছেন। পরে দেখা যায়, স্কুলটির সঙ্গে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্কই নেই।