কেসিআরের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রাহুল গান্ধীর
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের গোপন যোগাযোগ রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে আদেশ পান, তাঁর নির্দেশে কাজ করেন।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের গোপন যোগাযোগ রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে আদেশ পান, তাঁর নির্দেশে কাজ করেন। আর বাইরে তিনি নিজেকে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাজ করেন। হায়দরাবাদে ভারত জোড়ো যাত্রায় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন রাহুল গান্ধী।
কেসিআর আসলে বিজেপির স্বার্থেই কাজ করছেন
হায়দরাবাদে এক সমাবেশে রাহুল গান্ধী কেসিআরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, কেসিআর সরকার তেলেঙ্গানায় জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এদিন তাঁর ভাষণে স্পষ্ট হয়ে যায়, বিজেপিকে রুখতে কেসিআরের দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সঙ্গে কোনওভাবেই হাত মেলাবে না কংগ্রেস। কারণ কেসিআর আসলে বিজেপির স্বার্থেই কাজ করছেন।
রাহুল গান্ধী রাজ্যের সরকারকে কটাক্ষ করেন
রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় বর্তমানে তেলেঙ্গানায় আছেন। সেখানে একটি সমাবেশ থেকে রাহুল গান্ধী রাজ্যের সরকারকে কটাক্ষ করেন। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে চলেন। তাঁর নির্দেশে কাজ করেন। বাইরে তিনি বিজেপি বিরোধী বলে দেখান নিজেকে। তেলেঙ্গানার সরকার যা কার করছেন তা জনগণের স্বার্থবিরোধী।
টিআরএস সমর্থন করছে বিজেপিকে
রাহুল গান্ধীর কথায় টিআরএস এবং বিজেপি হল এক। তারা একই কাজ করে। তাই বিজেপি বা টিআরএস কারও ফাঁদেই পা দেওয়া উচিত নয়। রাহুল গান্ধী বলেন, সংসদে যে বিলই পাস করা হোক না কেন, দেখবেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএস সমর্থন করছে বিজেপিকে। একেবারে পূর্ণ সমর্থন দেয় বিজেপিকে।
কেসিআর চলেন মোদীর নির্দেশে
রাহুল অভিযোগ করেন, কেসিআরের সরাসরি মোদীর কাছে প্রবেশাধিকার রয়েছে। এবং তেলেঙ্গানায় কীভাবে কাজ করতে হবে, তার নির্দেশ দেন মোদী। কিন্তু তাঁরা বাইরে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদেরকে দেখান। রাহুল বলেন, আমি ভেবেছিলাম দিল্লি সবথেকে দূষিত শহর, কিন্তু আমি জানতে পেরেছি সবথেকে দূষিত শহর হয়দরাবাদ। কারণ এখানে সরকারের পরিকাঠামো খুবই খারাপ। এখানে যে উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।
সকলের কাছ থেকে হতাশার সুর শুনেছি
রাহুল বলেন, তেলেঙ্গানায় আমার সাতদিনের যাত্রায় আমি কৃষক, যুবক এবং রাজ্যের অন্যান্য সমস্ত লোকেদের সঙ্গেও দেখা করেছি। আমি সকলের কাছ থেকে হতাশার সুর শুনেছি। তেলেঙ্গানার কৃষকরা বলছেন, কঠোর পরিশ্রম করেও লাভের মুখ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তার কারণ সরকারের কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা তাঁরা পাননি।
ভারত জোড়ো যাত্রা হল গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করার ডাক
রাহুল গান্ধী এদিন ব্যাখ্যা করেন, ভারত জোড়ো যাত্রা হল গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করার ডাক। আমাদের সকলের কাছে এক হয়ে লড়াইয়ের মঞ্চ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্ঝুন খাড়গে মঙ্গলবার হায়দরাবাদে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেন। তিনি দাবি করেন, যদি দেশকে একটি অ-বিজেপি সরকার গঠিত হয়, তা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই গঠিত হবে।