রাহুলের মুখে হাসি ফিরিয়ে দেবেনই প্রিয়াঙ্কা! আমেঠি পুনর্দখলে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস
আমঠিতে হার মেনে নিতে পারেননি রাহুল গান্ধী। এই কেন্দ্র গান্ধী বংশের পারিবারিক আসন বললেও অত্যুক্তি হয় না। সেখানেই কি না হার। সেই হারের পর কংগ্রেসে ঘটে গিয়েছে অনেক পরিবর্তন।
আমঠিতে হার মেনে নিতে পারেননি রাহুল গান্ধী। এই কেন্দ্র গান্ধী বংশের পারিবারিক আসন বললেও অত্যুক্তি হয় না। সেখানেই কি না হার। সেই হারের পর কংগ্রেসে ঘটে গিয়েছে অনেক পরিবর্তন। এই অবস্থায় দাদার হরানো আসন ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই শুরু করেছেন বোন প্রিয়াঙ্কা। তিনি রাহুলের মুখের হাসি ফিরিয়ে দেবেনই।
স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস
এবার লোকসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে কংগ্রেসের একমাত্র সাফল্য সোনিয়া গান্ধীর জয়। রাহুল গান্ধীও আমেঠি কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছেন। এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। লোকসভা নির্বাচনের আগে পুর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। এবার তাঁকেই গোটা রাজ্যের নেতৃত্বে এনে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস।
প্রিয়াঙ্কার লড়াই শুরু
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ১১ হাজারেরও বেশি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত কয়েকমাসে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন ১১ ঘন্টা দলের কর্মীদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। তিনি পূর্ব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সমস্ত সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন।
রাজনীতিতে প্রবেশ, দায়িত্ব
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আনুষ্ঠানিক প্রবেশ ঘটে রাজনীতিতে এবং কংগ্রেসে। তারপর তাঁকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেন রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ইনচার্জ করা হয়েছিল। তখন থেকেই প্রিয়াঙ্কার লড়াই চলছে।
টিম সাজানোর ভাবনা
২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে এখনও প্রায় তিন বছর সময় পাবে কংগ্রেস। তাই প্রিয়াঙ্কার মতো মুখকে সামনে এনে উত্তরপ্রদেশের টিম সাজানোর ভাবনা কংগ্রেসের। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রাজ বব্বর। তবুও প্রিয়াঙ্কার উপরই দায়িত্ব বর্তানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কাই কংগ্রেসের নেতৃত্বে! ২০২২-এ কামব্যাকের লক্ষ্যে কৌশল তৈরি যোগী-রাজ্যে]
[আরও পড়ুন:তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলে কর্মসূচি নিয়েছে, বিজেপির বিকল্প নীতি কী, প্রশ্ন আরএসএস প্রধানের]