‘দিদি যখন পাশে.... ’ মধ্যপ্রদেশে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
মধ্যপ্রদেশে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী,
মধ্যপ্রদেশে খান্ডোয়ায় রাহু গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা বুধবার মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ার বোরগাঁও থেকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেন কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। সেখানেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রাতে যোগ দেন।
বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বোরগাঁও থেকে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়। খোরগানে যাওয়ার আগে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা আদিবাসীদের নেতা তাঁতিয়া ভেলের জন্মস্থান পরিদর্শন করবেন। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা আদিবাসীদের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। এমনিতে মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে বিজেপি বিশেষ জনপ্রিয় নয়। তারমধ্যে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা আদিবাসী মহলে বিজেপিকে খানিকটা একঘরে করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই আশঙ্কা থেকে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতাসীন দল বুধবার তাঁতিয়া ভেলের জন্মস্থান থেকে পাল্টা জনজাতি গৌরব যাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রা শুরুর সময় মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান ও চারজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
বুধবারই মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ করে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা। মধ্যপ্রদেশের ভারত জোড়ো যাত্রাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। মধ্যপ্রদেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসের বিধায়কদের কিনে রাজ্যে কমলনাথের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের ঘটনায় বিজেপিকে এক হাত নেন। মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছিল। কিন্তু ২০-২৫ জন দুর্নীতিবাজ বিধায়ককে বিজেপি টাকা দিয়ে কেনে। যার ফলে কংগ্রেসে কমল নাথ সরকারের পতন হয়।
বুধবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, কংগ্রেস ভারত জোড়ো যাত্রা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ কেন্দ্র সরকার সমস্ত গণতান্ত্রিক পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। লোকসভা থেকে সংবাদমাধ্যম, সব জায়গায় গণতন্ত্র বন্ধ। সমস্ত নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরএসএস ও বিজেপি কোনঠাসা করে দিয়েছে। সব জায়গায় বিজেপি নিজেদের লোক ঢুকিয়েছে। রাহুল গান্ধী বলেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি মনে করেন, ভারত জোড়ো যাত্রা একমাত্র বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। রাস্তায় আঘাত করুন, রাস্তায় সাধারণ মানুষকে আলিঙ্গন করুন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু সাধারণ মানুষের কথা শুনুন। তিনি বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রার তিনটি লক্ষ্য রয়েছে। প্রথমত, ভারতে হিংসা, ঘৃণা ভয় ছড়ানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে যাত্রা, দ্বিতীয়ত বেকারত্বের বিরুদ্ধে যাত্রা, তৃতীয়ত ভারতে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে।
আতঙ্ক বাড়িয়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, পাঁচটি শহরে লকডাউন ঘোষণা