Power Outage: ২০২০ সালের পর এই প্রথম এত বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয় বাণিজ্যনগরীতে! কিন্তু কেন?
প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে অন্ধকারে ডুবে থাকে বাণিজ্যনগরী। আর এই ঘটনার জেরে কার্যত ব্যাহত হয় মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন পরিষেবাও। এক আধিকারিকের কথায়, পাওয়ার গ্রিডের সমস্যার কারণে এই ঘটনা ঘটে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাব
অন্ধকারে ডুবল মুম্বই। প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে অন্ধকারে ডুবে থাকে বাণিজ্যনগরী। আর এই ঘটনার জেরে কার্যত ব্যাহত হয় মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন পরিষেবাও। এক আধিকারিকের কথায়, পাওয়ার গ্রিডের সমস্যার কারণে এই ঘটনা ঘটে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবরকম চেষ্টা করা হয়।
যদিও এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তবে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় ব্যাহত হয় জরুরি পরিষেবা। যদিও এজন্যে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়েছে।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, টাটার বিদ্যুৎ গ্রিড এদিন সকালে হঠাত করেই বসে যায়। আর এই কারণে সায়ন, পেরল, দাদর, চার্চগেট সহ বিভিন্ন এলাকাতে হঠাত করেই অন্ধকার নেমে আসে। তবে বিদ্যুৎ কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছে। আর তা করার ফলে ১১টার কিছু সময় পরেই বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের কমিশনার ইকবাল সিং চহাল এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টাটা বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিড বসে যাওয়ার কারণেই এই বিপত্তি। শুধু তাই নয়, এই কারণে মুম্বইয়ের একটা বড় অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বলেও দাবি তাঁর। শুধু তাই নয়, ইকবাল তাঁর বক্তব্যে আরও জানিয়েছেন, "মুলুন্দ-ট্রম্বের টাটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমএসইবি ২২০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বসে যায়। ফলে আর লোড নেওয়া সম্ভব হয়নি। আর এরপরেই বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। তবে এই ঘটনা মানুষের সমস্যার হওয়ার কারণে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়েছে বিএমসির তরফে।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এই প্রথমবার এত বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটল মুম্বইতে। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল। প্রবল বৃষ্টির জেরে তালেগাও-কালোয়া লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আর এর কারণেই বাকি লাইনগুলিতে চাপ পড়তে শুরু করে। আর এর জেরেই ঘটে এত বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
দক্ষিণ এবং মধ্য মুম্বইতে প্রভাব-
MSEB 220kv ট্রান্সমিশন লাইন মুলুন্ড-ট্রাম্বে হঠাত করে পাওয়ার গ্রিড বিকল হয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ে লোকাল ট্রেনের উপর। এমনকি প্রভাব পড়ে কয়েকটি দুরপাল্লার ট্রেনে। কারন হঠাত করে বিদ্যুৎ পরিষেবা চলে যাওয়ার কারণে যে লাইনে যে ট্রেন দাঁড়িয়েছিল তা থমকে যায়। ফলে একের পর এক ট্রেন বভিন্ন লাইনে আটকে যায়। সেন্ট্রাল রেলের পিআরও শিবাজি এম সুতাহ -এর তরফে জানানো হয়েছে যে, এইচবি এবং মেন লাইনে সকাল 9.49-52 থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা চলে যায়। যদিও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক চলছে বলে জানানো হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি লাইনে ট্রেন পরিষেবা অস্বাভাবিক দেরিতে চলছে বলেও অভিযোগ।