সর্বাধিক দূষিত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ভারত, তীব্র দূষণে ভারতীয়দের গড় আয়ু কমছে ৫ বছর
সর্বাধিক দূষিত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ভরত, তীব্র দূষণে ভারতীয়দের গড় আয়ু কমছে ৫ বছর
লকডাউনে স্তব্ধ দেশ, যানচলাচলের পরিমাণও অনেকটাই কম। গত ৫ মাসের বেসি সময় ধরে বন্ধ বেশিরভাগ শিল্প তালুক। যদিও এর মাঝেও দেশের দূষণ নিয়ে একাধিক ভয়াবহ তথ্য সামনে আসছে। সম্প্রতি সদ্য প্রকাশিত অপর একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত দেশের তুলনায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসছে ভারত।
বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত ২০ টি শহরের ১৪টিই ভারতে
চলতি বছরেই একাধিক রিপোর্টে দেখা গেছে বিশ্বে সর্বাধিক দূষিত ২০ টি শহরের মধ্যে ১৪টিই রয়েছে ভারতে। একইসাথে বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত রাজধানী শহরের মধ্যে শীর্ষে দিল্লি। এদিকে প্রতিবছরই বায়ুদূষণের কারণে ক্রমেই আরও খারাপ অবস্থা হচ্ছে ভারতের রাজধানীর। এদিকে বায়ুদূষণের কারণে উদ্বেগ বাড়ছে চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, কলকাতা এবং মুম্বইয়েরও।
ভয়াবহ বায়ুদূষণের শিকার ৮৪ শতাংশ ভারতীয়
এদিকে ভারতের ১৩০ কোটি মানুষ যে গ্রাম ও শহর গুলিতে বাস করছেন সেখানে বার্ষিক গড় দূষণের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিপদসীমাকেও প্রতি বছরই ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে খবর। বর্তামানে ৮৪ শতাংশ ভারতীয় এমন অঞ্চলে বাস করেন যেখানের বায়ুমান ক্রমশ স্বাস্থ্যের জন্য অশনিসংকেত বয়ে নিয়ে আসছে।
প্রত্যের ভারতীয়ের গড় বয়স কমছে ৫.২ বছর
এদিকে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্সের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট গবেষণায় ভারতের বায়ু দূষণ সম্পর্কিত ভয়াবহ তথ্য উঠে আসছে। এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র দূষিত পরিবেশের জন্য প্রতি ভারতীয়ের গড় বয়স ৫.২ বছর করে কমে যাচ্ছে। যা শুনে চোখ কপালে তুলছেন বেশিরভাগ পরিবেশবিদই।
দূষণের নিরিখে দিল্লিকে টক্কর লখনউয়ের
বর্তমানে সর্বাধিক দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লিকে জোর টক্কর দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ। সেখানেই দূষণের পরিমাণ রীতি মতো উদ্বেগেরক কারণ হয়েছে দাঁড়াচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। সবত্রের খবর বর্তমানে লখনউ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনের থেকেও ১১ গুণ বেশি দূষিত হয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই দূষণ অব্যাহত থাকলে লখনউয়ের বাসিন্দাদের আয়ু প্রায় ১০.৩ বছর করে কমবে বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা।
ন্যাশান্যাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামের সূচনা কেন্দ্রের
এদিকে বায়ুদূষণ ঠেকাতে ২০১৯ সাল থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নামে কেন্দ্র সরকারও। "দূষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" ঘোষণা করে ন্যাশান্যাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (এনসিএপি) ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রের তরফে। এই মিশনের মূল লক্ষ্যই ২০১৭ সাল পর্যন্ত গোটা দেশে যে পরিমাণ দূষণ বেড়েছে ২০১২৪ সালের মধ্যে তা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা। এদিকে আইকিউয়ার এয়ারভিজুয়াল এবং গ্রিনপিস দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বায়ুমান সূচক অনুসারে, গত ছয় মাসে বায়ু দূষণের কারণে দিল্লি বার্ষিক জিডিপির ২৬ হাজার ২৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় সংক্রািমত ৪৯,০০০, দেশে মোট করোনা আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ ছুঁই ছুঁই