কালো টাকা নিয়ে তথ্য জানাতে অস্বীকার কেন্দ্রের মোদী সরকারের
কালো টাকা ফেরত আনা নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
কালো টাকা ফেরত আনা নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিদেশ থেকে কত কালো টাকা ফেরত এসেছে এই প্রশ্ন তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন এক জনৈক সমাজসেবি। তাঁর প্রশ্নকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন কেন্দ্রকে ১৫ দিনের মধ্যে এই সম্পর্কে তথ্য পেশে নির্দেশ দেয়। তবে নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয় জানিয়েছে, এখনই তথ্য পেশ করা সম্ভব নয়।
সরাসরি প্রস্তাব নাকচ
প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, বিশেষ তদন্তকারী দলের তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে কালো টাকা নিয়ে তথ্য প্রকাশ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আরটিআই আইনের একটি ধারাকেই বাধা হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন কেন্দ্রকে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়। তার জবাবেই সরাসরি প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেওযা উচিত হবে না। তাতে তদন্তে প্রভাব পড়বে। দোষীরা এর ফায়দা তুলতে পারে।
সঞ্জীব চতুর্বেদীর আবেদন
আরটিআই আবেদনটি করেছিলেন জনৈক আমলা সঞ্জীব চতুর্বেদী। তিনি একজন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার। তাঁর আবেদনে সরকার জানিয়েছে, এমন ধরনের তদন্ত সরকারি বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ও নিরাপত্তা এজেন্সি করে। সবকটি আরটিআই আইনের বৃত্তেও নেই।
কালো টাকার হিসাব
মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির হিসাব অনুযায়ী ২০০৫-২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশ থেকে ৭৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কালো টাকা হিসাবে এদেশে ঢুকেছে। আর দেশ থেকে ১৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কালো টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।