শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ হওয়া উচিত ন্যূনতম! এনইপি ২০২০ নিয়ে বক্তব্য পেশ মোদীর
আজ নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পৌরোহিত্যে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজকের এই বৈঠকটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই আয়োজিত হয়। বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন সমস্ত রাজ্যের রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী, উপাচার্যরা। শিক্ষামন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে এই 'উচ্চ শিক্ষার রূপান্তরকরণের ক্ষেত্রে এনইপি -২০২০'র ভূমিকা' শীর্ষক সম্মেলনটি।
প্রতিভা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের চেষ্টা
সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রতিভা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের চেষ্টা করা হয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে। ভারতকে শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল, উপযুক্ত করার জন্য এবং একুশ শতকের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে নয়া শিক্ষনীতি। আপনারা প্রত্যেকে নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সরাসরি জড়িত। তাই আপনাদের দায়িত্ব অনেক।'
ব্রেন ড্রেনকে আটকাতে হবে
এদিন তিনি আরও বলেন, 'ব্রেন ড্রেনকে আটকাতে হবে। দেশেই যখন আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদান করা হবে, তখন কেউ আর বিদেশে পড়তে যাবে না। নতুন যে কোনও পদ্ধতি প্রবর্তন করারর সময় মনে অনেক প্রশ্ন জন্ম নেয়। অনেক আশঙ্কা তৈরি হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন, কীভাসে স্থানীয় ভাষায় সিলেবাস তৈরি হবে! আবার প্রশ্ন, কীভাবে কারিকুলাম তৈরি হবে। তবে সব প্রশ্নের সমাধান এক, আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করব।'
শিক্ষানীতিও দেশের নীতি
প্রধানমন্ত্রী এদিন নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে বলেন, 'বিদেশনীতি, প্রতিরক্ষানীতি যেমন দেশের হয়, এই শিক্ষানীতিও দেশের। এটা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের নয়। টেকনলজির বিস্তার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। সেভাবেই দেশের কোণায় কোণায় জ্ঞান পৈঁছে দিতে হবে আমাদের। শিক্ষানীতিতে যেকোনও সরকারের হস্তক্ষেপ খুবই কম হওয়া উচিত।'
৩৪ বছর পর বদল আসে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে
গত জুলাই মাসে প্রায় ৩৪ বছর পর বদল আসে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, শিক্ষাব্যবস্থার খোলনলচে বদলে ফেলা হল এই নয়া নীতিতে। নয়া নীতিতে শিক্ষার অধিকারের আওতায় আনা হয়েছে ৩ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়াদের। পাশাপাশি বদল ঘটানো হল পরীক্ষা ব্যবস্থায়। এমনকী আমূল বদলে গিয়েছে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাও।
হাতেকলমে শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে
উল্লেখ্য, নয়া শিক্ষানীতিতে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদলে হয়েছে শিক্ষামন্ত্রক। স্বাধীনতার পর থেকে এই নামেই পরিচিত ছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। পরে ১৯৮৫ সালে তা বদল করা হয়। নতুন শিক্ষানীতিতে সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার রয়েছে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে গুরুত্বহীন দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পড়ুয়াদের মুখস্থ বিদ্যার বদলে হাতেকলমে শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে।