দিল্লিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ থেকে লাগু নতুন নিয়ম
দিল্লিতে বাড়তে থাকা দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের একবার জোড়-বিজোড় পদ্ধতি প্রণয়ন করল সরকার। আজ থেকে এই নিয়ম জারি করা হল রাজধানীতে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ লাগু থাকবে।
দিল্লিতে বাড়তে থাকা দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের একবার জোড়-বিজোড় পদ্ধতি প্রণয়ন করল সরকার। আজ থেকে এই নিয়ম জারি করা হল রাজধানীতে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ লাগু থাকবে। রবিবার অর্থাৎ ১০ নভেম্বর এই নিয়ম কার্যকর থাকবে না বলে জানিয়েছে সরকার।
জোড়-বিজোড়ের নীতি থেকে রেহাই ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলিকে
দিল্লি সরকার জানিয়েছে জোড়-বিজোড়ের এই বিধিনিষেধ থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে ইলেক্ট্রিক চালিত গাড়িগুলিকে। দিল্লি সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী কৈলাস গেহলোট একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যে দিল্লিতে রেজিস্টার করা ইলেক্ট্রিক গাড়ির সংখ্যা ১০০০-এর থেকেও কম। এই কারণেই ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলিকে এই বিধিনিষেধ থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১৫ নভেম্বর পর্যন্ত লাগু থাকবে বিধিনিষেধ
লাগু করা নিয়মে জানানগো হয়েছে যে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সংখ্যার শেষের সংখ্যা যদি জোড় হয় তবে তা জোড় তারিখে চলবে। যদি তা বিজোড় হয় তবে তা বিজোড় তারিখে চলবে। এই বিধিনিষেধ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত লাগু থাকবে রাজধানীতে।
নিয়ম লাগু করতে শহর জুড়ে ২০০টি বিশেষ দল
এই বিধিনিষেধের তদারকি করতে ইতিমধ্যেই ট্রাফিক পুলিশের ২০০টি দল বানানো হয়েছে দিল্লিতে। এই বিষয়ে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ পুলিশ কমিশনার তাজ হাসান বলেন, "আমরা এই জোড়-বিজোড় সংখ্যার নিয়ম মসৃণ ভাবে প্রণয়ন করতে শহর জুড়ে ২০০টি বিশেষ দল নিযুক্ত করেছি।"
দূষণের জেরে ঘন কুয়াশা ঢেকে গিয়েছে দিল্লি
এদিকে দূষণের জেরে ঘন কুয়াশা ঢেকে গিয়েছে দিল্লি। এর জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই ব্যহত হচ্ছিল বিমান পরিষেবা। গতকাল দিল্লি বামানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয় ১২টি ফ্লাইট। এই ফ্লাইটগুলিকে জয়পুর, লখনউ ও অমৃতসরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দৃশ্যমানতা কম থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। কুয়াশার জেরে বেহাল দশা দেখা যায় দিল্লির রাজপথেও।
নয়ডাতেও মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশ
দিল্লির পাশাপাশি নয়ডাতেও মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গতকাল সকালে বৃষ্টি হওয়ায় দূষণের মাত্রা কমলেও বেলা বাড়তেই ফের বাতাসের মান নামতে থাকে। বাওয়ানা, জাহাঙ্গিরপুর, রোহিণী, সোনিয়া বিহার, শাহদরা, ওখলা, মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম, আনন্দ বিহার, পাঞ্জাবি বাগ, পুসা, মন্দির মার্গ, মুন্ডকা, শ্রীনিবাসপুরি এবং জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৯৯৯ ছাড়িয়েছে। একিউআই ৯০০ ছাড়িয়েছে আরও বেশ কিছু এলাকায়। আজ সকালে অবশ্য সেই মাত্রা কিছুটা কম বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার বৃষ্টিতেও স্বস্তি পায়নি দিল্লি
আশা করা হয়েছিল বৃষ্টির পর দূষণের মাত্রা কমে যাবে। তবে দেখা গিয়েছে যে বাতাসের মান আরও কমে গেছে। উল্টোটা হল কেন? বিশেষজ্ঞদের মত, ভারী বৃষ্টির পরিবর্তে হালকা বৃষ্টি হওয়াতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর জেরে বাতাসে স্যাঁতসেতে ভাব তৈরি হয়েছে। এই কারণে বাতাসের ভাসমান ধূলিকণাগুলি আরও ঘনীভূত হয়ে গিয়েছে। তাতেই ঘোলাটে ভাব বেড়েছে। কমে যায় দৃশ্যমানতাও। এবার জোড়-বিজোড় নীতি চালু হলে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয় কি না, তাই দেখার।