ট্রেন থামাতে 'চেন টানার' ব্যবহার ইতিহাস হতে চলেছে!
বারেলি, ৯ জুন : 'ট্রেন থামাতে চেন টানুন' রেলের কোচের মধ্যে এই ধরনের নোটিশ খুব শীঘ্রই ইতিহাস হতে চলেছে। রেল মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রেনের মধ্যে এই চেন ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে। রেলসূত্রের তরফে জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ কারন ছাড়াই নির্বিচারে চেন টানার জন্য ট্রেন চলাচলে দেরি হয়ে যায়। আর এর ফলে রেলের ৩০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে রেলের।
বারেলির ইজ্জতনগরে ট্রেন থেকে চেন সরিয়ে নেওয়ার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ট্রেনের চালক এবং সব চালকের ফোন নম্বর প্রত্যেকটি বগিতে দেওয়া থাকবে। যাতে আপতকালীন অবস্থায় যাত্রীরা তাদের ফোন করতে পারেন।
রেলসূত্রের খবর, গোটা দেশের যেকোনও জায়গায় রেলেপ বগি তৈরির কারখানায় নতুন যে বগি তৈরি করা হবে তাতে চেনের ব্যবস্থা থাকবে না। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও ইতিমধ্যে রেল বোর্ডের তরফে জারি করা হয়েছে।
তবে চেন না থাকলে জরুরীকালীন অবস্থায় কীভাবে ট্রেন থামানো যাবে? সেক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ট্রেনের চালক এবং সব চালকের ফোন নম্বর প্রত্যেকটি বগিতে দেওয়া থাকবে। এছাড়াও প্রত্যেকটি ট্রেনের তিনটি বগিতে ওয়াকি টকি নিয়ে একজন রেলকর্মী থাকবেন।[জেনে নিন কীভাবে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে নিত্যদিনের টিকিট বুকিং করবেন]
রেল আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনের চেনের অপব্যবহার করা হয় বহুলভাবে। জরুরীকালীন অবস্থা ছাড়াই যাত্রীরা ব্যক্তিগত স্বার্থে চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে দেয়।
এই চেন আপদকালীন অবস্থার জন্য ট্রেনে রাখা হয়। যদি জরুরি অবস্থায় টিটি-র সঙ্গে যোগাযোগ করা না যায় তখনই চেন টানার ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে আত্মীয়স্বজন ট্রেন সময়ে ধরতে না পারে তাহলেও যাত্রীরা চেন টেনে দেয়।
রেল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহা সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এসে জানিয়েছিলেন ট্রেনে অযথা চেন টানার প্রবণতা বেশি রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে। যার ফলে রেলকে চরম লোকসানের মুখে পড়তে হয়।
ইজ্জতনগর ডিভিশনের ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) চন্দর মোহন জিন্দাল জানিয়েছেন, ট্রেন গন্তব্যে দেরিতে পৌছনোর একটা বড় কারণই হল এই চেন টানায়। এই চেন টানার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে।