For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

৪৯৮-এ ধারায় যথেচ্ছ গ্রেফতার নয়, পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত

  • By Ananya Pratim
  • |
Google Oneindia Bengali News

সুপ্রিম কোর্ট
নয়াদিল্লি, ৩ জুলাই: আইপিসি (ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধি) ৪৯৮-এ ধারায় কোনও অভিযোগ পেলে আর সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা যাবে না স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে। বধূ নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করবে। যদি মনে করে এর সারবত্তা আছে, তবেই পাকড়াও করে লক-আপে ঢোকানো যাবে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তদের। গতকাল অর্থাৎ বুধবার এই মর্মে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বধূ নির্যাতন প্রসঙ্গে একটি মামলার [অর্ণেশ কুমার বনাম বিহার রাজ্য মামলা, ক্রিমিনাল আপিল নম্বর ১২৭৭/২০১৪, স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (ক্রিমিনাল) নম্বর ৯১২৭/২০১৩] রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, আজকাল এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে আকছার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সামান্য মনোমালিন্য হলেই স্ত্রী থানায় গিয়ে ৪৯৮-এ ধারায় অভিযোগ জানাচ্ছে। স্বামী, ভাশুর তো গ্রেফতার হচ্ছেই, শয্যাশায়ী শ্বশুর, বিদেশে বসবাসকারী ননদকে নিয়ে টানাটানি করছে পুলিশ। বিচারপতি চন্দ্রমৌলিকুমার প্রসাদ এবং বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ তথ্য উদ্ধৃত করে বলেছেন, "২০১২ সালে ৪৯৮-এ ধারায় সারা দেশে গ্রেফতার হয়েছে ১,৯৭,৭৬২ জন। ৯৩.৬ শতাংশ ক্ষেত্রে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অথচ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ১৫ শতাংশ। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে নির্দোষ লোকজনকে বাড়ির বউ পরিকল্পনা করে ফাঁসিয়েছে। যারা গ্রেফতার হচ্ছে, তাদের চাকরি নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। সামাজিক মর্যাদা ধুলোয় মিশে যাচ্ছে। এই অবস্থার অবসান দরকার।"

দেশের পুলিশি ব্যবস্থাকে ধুনে বিচারপতিরা বলেন, "আমাদের দেশে পুলিশ আজও মানুষের বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি। পরাধীন আমলের মানসিকতা থেকে পুলিশ বেরিয়ে আসতে পারেনি। গ্রেফতারির এই ঢালাও ক্ষমতা পুলিশকর্মীদের দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই ৪৯৮-এ ধারায় আর খেয়ালখুশি মতো গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।"

আদালত বলেছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১ নম্বর ধারায় গ্রেফতার নিয়ে ন'টি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যতম হল, বিশ্বাসযোগ্য তথ্য (ক্রেডিবল ইনফরমেশন) এবং যুক্তিযুক্ত সন্দেহ (রিজনেবল সাসপিশন)। এই দু'টি বিষয় অবশ্যই পুলিশকে খতিয়ে দেখতে হবে ৪৯৮-এ ধারায় গ্রেফতারি ক্ষেত্রে। কোনও বিবাহিত মহিলা শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনছেন, তা সত্যি কি না পরীক্ষা করে দেখতে হবে। পাশাপাশি, অভিযুক্তরা পালিয়ে যেতে পারে কি না, সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখতে হবে। আর তার পরই গ্রেফতার করা যাবে অভিযুক্তকে। অর্থাৎ গ্রেফতারের আগে প্রাথমিক তদন্ত (প্রিলিমিনারি ইনভেস্টিগেশন) আবশ্যিকভাবে করতে হবে পুলিশকে। অভিযোগ পেয়েছি, তাই চোখ-কান বুজে গ্রেফতার করেছি, আদালতে এই যুক্তি আর দিতে পারবে না পুলিশ।

বিচারপতিদের আরও নির্দেশ, কোনওভাবে গ্রেফতারির পর বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট যদি দেখেন, অভিযোগ ততটা জোরালো নয়, তা হলে তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটও তাদের জেলে আটকে রাখার ব্যাপারে যান্ত্রিকভাবে নির্দেশ দিতে পারবেন না। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

বিভিন্ন মহল শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। অনেক আইনজ্ঞ বলেছেন, আরও আগে এমন রায় দেওয়া উচিত ছিল।

English summary
No automatic arrest under 498A, Supreme Court warns police
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X