এনসিবি–নৌ সেনা অভিযান, গুজরাত উচ্চ সাগর থেকে বাজেয়াপ্ত ২০০০ কোটির মাদক
এনসিবি–নৌ সেনা অভিযান, গুজরাত উচ্চ সাগর থেকে বাজেয়াপ্ত ২০০০ কোটির মাদক
নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ও ভারতীয় নৌসেনার যৌথ অপারেশনে গুজরাতের উচ্চ সাগর থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, যা প্রতিবেশী দেশে পাচার করা হচ্ছিল। শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই খবর জানানো হয়েছে।
গুজরাতের উচ্চ সাগরে এ ধরনের অভিযান এনসিবি ও নৌসেনার প্রথম বলে জানা গিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাজেয়াপ্ত মাদকের মধ্যে ৫২৯ কিলো গাঁজা, ২৩৪ কিলো ক্রিস্টাল মেথামফেটামাইন ও হিরোইন রয়েছে। যার আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য ২০০০ কোটি টাকা। এনসিবির মতে, ভারতের 'প্রতিবেশী দেশ’ ভিত্তিক একটি মাদক কার্টেল দ্বারা সর্বোচ্চ মানের মাজক পাচার করা হচ্ছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'বর্তমানে আমাদের প্রতিবেশী দেশের বাইরে অবস্থিত মাদক সিন্ডিকেটের জন্য এবং ভারত ও অন্যান্য দেশে মাদকের বিস্তারের ক্ষেত্রে সামুদ্রিক রুট ব্যবহার করা হচ্ছে।’ জলপথ ব্যবহার করে মাদক পাচারের তথ্য এনসিবি ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে ভাগ করে নেয়। এনসিবি এই তথ্য নেভাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গেও ভাগ করে নেয় এবং যৌথ অপারেশন শুরু করে। এনসিবি তাদের বিবৃতিতে এও বলেছে, 'এনসিবি সদর দফতরের বিশেষ ইউনিট এই ধরনের বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের উপর ক্রমাগত কাজ করছে এবং নৌবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতায় এই ধরনের আরও অভিযান চালানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।’
কয়েক মাস আগেই এনসিবি মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করে এবং শাহরুখ–পুত্র আরিয়ান খান সহ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল অল্প বয়সী তরুণ–তরুণীদের গ্রেফতার করে। আরিয়ান খান গ্রেফতারের পর এই মাদক কাণ্ড বহুদূর পর্যন্ত গড়ায়। এছাড়াও এনসিবি বলিউড মাদক কাণ্ড নিয়েও তদন্ত করে চলেছে। তদন্তের খাতিরে ইতিমধ্যেই এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতাদের।