BreakingNews: ফের পঞ্জাবের রাজনীতিতে ঝড়! প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা নভজ্যোৎ সিং সিধুর
ফের পঞ্জাবের রাজনীতিতে ঝড়। হঠাত করেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে এই ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। টুইটে সেই চিঠির প্রতিলিপি আপলোড করেছেন সিধু।
ফের পঞ্জাবের রাজনীতিতে ঝড়। হঠাত করেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে এই ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। টুইটে সেই চিঠির প্রতিলিপি আপলোড করেছেন সিধু।
একদিকে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সম্ভবত আজ মঙ্গলবারই অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। আর সেই জল্পনার মধ্যেই হঠাত সিধুর ইস্তফা। তা নিয়ে পঞ্জাবের রাজনীতিতে নয়া সঙ্কট তৈরি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা রাজনীতিবিদদের।
তবে কি কারনে পদ ছাড়লেন সিধু তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার তালিকাতে একেবারে প্রথমদিকেই ছিল সিধুর নাম। কিন্তু তাঁকে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি। আর সেটাই কি কারণ? এমন বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে সিধু লিখেছেন, পঞ্জাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও আপোষ করব না। আপস করলেই মানুষের চারিত্রিক অবনমন হয় বলে সোনিয়া গান্ধীকে একেবারে সংক্ষিপ্ত চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সিধু। তবে বারবার এভাবে পঞ্জাবে কংগ্রেসের অচলবস্থায় মনোবল ভাঙছে কংগ্রেস কর্মীদের। এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের।
তবে গত কয়েকদিন আগেই রাহুল গান্ধী-সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে কংগ্রেসে যোগ দেন সিধু। যদিও সিধুর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অমরিন্দর সিং এবং সিধু চণ্ডীগড় এবং পঞ্জাবের অন্য জায়গায় একাধিক বৈঠক করেছিলেন, নিজেদের মধ্যে বিরোধ মেটাতে।
কিন্তু শোনা যায় সিধুর লক্ষ্য ছিল অমরিন্দর সিং-এর চেয়ার। কিন্তু অমরিন্দর সিং সেই পদ ছেড়ে দিতে কোনওভাবেই রাজি হননি। যা নিয়ে তিনি দলের সভানেত্রীকে চিঠি লিখে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সিধুর জন্য পঞ্জাব কংগ্রেসে বিভাজন তৈরি হতে পারে। এরপরেও সিধু কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েন ক্যাপ্টেন।
এমনকি কংগ্রেসের একাধিক পদ থেকেই ইস্তফা দেন তিনি। সম্প্রতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সংবাদমাধ্যমে বলেন যে তিনি নবজ্যোত সিং সিধুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। এবং ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিধুর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী দাঁড় করাবেন যাতে তার পরাজয় নিশ্চিত হয়।
আর তা নিয়ে সংঘাতের আবহে একদিকে যখন বিজেপিমুখী ক্যাপ্টেন অন্যদিকে হঠাত করেই পদ থেকে ইস্তফা সিধুর। তবে চিঠিতে জানিয়েছেন, পদ ছাড়লেও কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি থাকবেন। তবে এই অবস্থায় পঞ্জাবের কংগ্রেসের দায়িত্বে কে আসেন সেটাই এখন দেখার।