একসঙ্গে লড়াই করে আমরা অশুভ শক্তিকে হারিয়েছি, বাংলাদেশের মুক্তিদিনে টুইট মোদীর
একসঙ্গে লড়াই করে আমরা অশুভ শক্তিকে হারিয়েছি, বাংলাদেশের মুক্তিদিনে টুইট মোদীর
৫০ বছরে পা রাখল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয় সেনার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইও ৫০ বছরে পদার্পণ করল। বৃহস্পতিবার সকালে এ নিয়ে টুইটে নিজের শুভেচ্ছা জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ বাংলাদেশের ৫০ তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত রয়েছেন সে দেশের ঢাকস শহরের বিশেষ অনুষ্ঠানে৷
|
টুইটে কী লিখলেন মোদী?
বৃহস্পতিবার টুইটে মোদী লেখেন, ৫০তম বিজয় দিবসে, আমি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা এবং সাহসীদের মহান বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করি। একসঙ্গে, আমরা অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি এবং অশুভ শক্তিকে পরাজিত করেছি। দেশের রাষ্ট্রপতি আজ এই শুভ মূর্হুতে ঢাকায় উপস্থিত রয়েছেন যা প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
মোদী-হাসিনা সুসম্পর্ক
২০১৪ সালে মানুষের ভোটে জিতে দিল্লির দায়িত্বে আসেন নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁর আগে থেকেই অবশ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুজিবুর রহমান-কন্যা শেখ হাসিনা। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে বলেই দাবি করে থাকেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ। ২০২১ এ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ গিয়ে সেখানে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পুজোও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আম-ও পাঠিয়ে থাকেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার মোদীর টুইটে আরও একবার দু'দেশের সুসম্পর্কের কথা উঠে এল।
বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস!
শুরুটা হয়েছিল ভারত ভেঙে পূর্ব ও পচিম পাকিস্তান হওয়ার পর থেকেই! এরপর ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে হওয়া গণভোটে আওয়ামী লিগ বড় জয় পায়। পূর্ব পাকিস্তানের নিজস্ব রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগ ভোটে জেতার পর থেকেই বাংলাদেশের মানুষের উপর অত্যাচার করতে শুরু করে পাক সেনা৷ বর্বরতার স্বীকার হন বাঙালিরা৷ অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষিতা হন অসংখ্য নারী৷ ঠিক কতজন মারা গিয়েছিলেন এই হত্যাযজ্ঞে? সঠিক সংখ্যা এখনও অজানা, তবে মনে করা হয় ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন সেই সময়। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন ৮-১০ মিলিয়ন মানুষ৷ যার ৯০ শতাংশ ছিল হিন্দু।
সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিজয় দিবস, টুইটে শুভেচ্ছা নমো-শাহ-রাজনাথের
বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সেনার লড়াই!
১৯৭১
এ
ররা
ডিসেম্বর
পাকিস্তানি
ভারত
বাংলাদেশ
(তখন
পূর্ব
পাকিস্তান)
সীমান্তে
বোমাবর্ষণ
করে।
তারপরদিন
অর্থাৎ
৪তারিখ
থেকেই
ভারতীয়
সেনাবাহিনী
মুক্তিযুদ্ধে
যোগ
দেয়।
এরপর
মাত্র
১৩
দিনের
যুদ্ধ
শেষে
প্রায়
৯৩
হাজার
পাকিস্তানি
সেনা
আত্মসমর্পণ
করেছিল
ভারতীয়
সেনার
সামনে।
বাংলাদেশের
সময়
বিকেল
৪টে
৩১
মিনিটে
'INSTRUMENT
OF
SURRENDER'
চুক্তিতে
সই
করেন
পাক
জেনারেল
আবদুল্লাহ
খান
নিয়াজি।
ইতিহাসে
এমন
আত্মসমর্পণের
ঘটনা
একমাত্র
এটিই।
মূলত
ভারতীয়
সেনার
কাছে
পাকিস্তানি
সেনার
এই
আত্মসমর্পণের
মাধ্যমেই
বাংলাদেশ
স্বাধীনতা
লাভ
করে৷