পিসি-ভাইপোর সমর্থনও মিলে গেল, ২০১৯-এর মহাযুদ্ধের আগে শক্ত হচ্ছে রাহুলের হাত
বিধানসভা ভোটের আগে ভেস্তে গিয়েছিল জোট আলোচনা। কিন্তু নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পর পরিস্থিতি ফের এক করে দিল বিরোধী শিবিরকে।
বিধানসভা ভোটের আগে ভেস্তে গিয়েছিল জোট আলোচনা। কিন্তু নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পর পরিস্থিতি ফের এক করে দিল বিরোধী শিবিরকে। মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেয়ে গেল কংগ্রেস। ২০১৯-এর আগে রাহুল গান্ধীর হাত আরও শক্ত করে দিল পিসি-ভাইপোর সমর্থন বার্তা।
মায়ার সমর্থনের হাত কংগ্রেসের দিকে
মঙ্গলবার দিনভর টানটান উত্তেজনা ছিল মধ্যপ্রদেশ নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনী ফল নিয়ে যেন একটা থ্রিলার হয়ে গেল। রাত ভোর হয়ে গেলেও নির্ধারিত হল হন মধ্যপ্রদেশের ভাগ্য। শেষমেশ কান ঘেঁষে হার-জিতের ফয়সালা। শেষ হাসি রাহুল গান্ধী শিবিরেরই। মোদী শিবিরের। আর সব অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে দিলেন মায়াবতী ও অখিলেশ। তাঁদের অনুসরণ করে নির্দলের বিজয়ীরাও সমর্থনের হাত বাড়ালেন কংগ্রেসের দিকে।
বিজেপিকে সমর্থন নয়, হাত ধরার বার্তা
মঙ্গলবার থেকেই মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে ত্রিশঙ্কু ফলে মায়াবতীর দল হয়ে উঠছিল কিং-মেকার। বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ নিয়ে উত্তেজনা ছিল চরমে। মঙ্গলবারই মায়াবতী জানিয়েছিলেন, কোনওমতেই বিজেপিকে সমর্থন দেবেন না তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে হাত ধরার বার্তা দিলেন মায়াবতী।
পিসির পর ভাইপোর সমর্থনও কংগ্রেসকে
মায়াবতীর পর অখিলেশ যাদবও সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, মধ্যপ্রদেশের তাঁদের যে একজন প্রার্থীয় জয়ী হয়েছেন, তাঁর সমর্থনও থাকবে কংগ্রেসের দিকে। এ প্রসঙ্গে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সামনে বড় লড়াই, আমাদের সমর্থন কংগ্রেসেরই দিকে।
|
বিজেপিকে আটকাতেই কংগ্রেসের হাতে হাত
মায়াবতী সাফ জানান, শুধু মধ্যপ্রদেশেই নয়, প্রয়োজন পড়লে তিনি রাজস্থানেও কংগ্রেসকে সমর্থন দেবেন। জানিয়েছেন, বিজেপিকে আটকাতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তবে এর পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসের সমালোচনাও করেছেন। ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কেন দুই রাজ্যে ভোটের আগে কথাবার্তা চালিয়েও জোটে যেতে রাজি হননি তিনি।
|
সমর্থনেও বন্ধ নয় কংগ্রেসের সমালোচনা
কংগ্রেসের সমালোচনা করে মায়াবতী বলেন, কংগ্রেসে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও দলিত তথা পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কিছুই করেনি। সেই কারণেই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তৈরি হয়েছে তাঁদের মতো একাধিক দল। আর বিজেপির বাড়বাড়ন্তও হয়েছে সেই কারণে। তবে বিজেপি আরও ভয়ানক। তাই তাদের আটকাতেই সমর্থন কংগ্রেসকে।
[আরও পড়ুন: সোহরাবুদ্দিন শেখ মামলা! সাক্ষী রায় স্থগিত চাওয়ায় চাঞ্চল্য]
মধ্যপ্রদেশে ফল দেখেই সমর্থন পিসি-ভাইপোর
মধ্যপ্রদেশে ২৩০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে এসেছে ১১৪টি আসন। বিজেপি জিতেছে ১০৯টি আসনে। ফলে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পায়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১১৬টি আসন। কংগ্রেসের দুটি আসন কম ছিল ম্যাজিক ফিগার থেকে। সপা-বসপা সমর্থনের হাত বাড়ানোয় সেই সংকট মেটে। পরে নির্দলও সমর্থনের কথা জানায়।
[আরও পড়ুন:বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে কতটা মিলল নির্বাচনের আসল ফল, রাজ্য ধরে বিশ্লেষণ দেখুন ]
২০১৯-এর ফর্মুলায় মধ্যপ্রদেশে সমর্থন
সপা-বসপা ক্ষুদ্র শক্তি হলেও তাঁদের সমর্থনও দরকার হল কংগ্রেসের। এই পরিসংখ্যান রাহুল গান্ধীকে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে। কেননা সামনে বড় লড়াই। সেই লড়াই জিততে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক শক্তিকে এক করেই লড়তে হবে মোদীর বিরুদ্ধে। তবেই ২০১৯-এ জিততে সক্ষম হবেন তিনি। তা না হলে তীরে এসে তরী ডুবতে পারে, তা দেখিয়ে দিয়ে গেল মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের নির্বাচন।
[আরও পডুন:রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নয়, ২০১৯-এ বিজেপিকে হারানোই মূল লক্ষ্য পাইলট-গেহলটের]