চিকিৎসক পাত্রীর জন্য যোগ্য পাত্র খুঁজে না পেয়ে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দিল ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট
ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে পছন্দমতো পাত্র পাননি পাত্রী ও তাঁর পরিবার। মাশুল গুনতে হল চণ্ডীগড়ের ওয়েডিং উইশ নামের ওই সাইটটিকে। তাদের গ্রাহককে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হল। চণ্ডীগড়ের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ওই ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটকে নির্দেশ দিয়েছে গ্রাহককে সুদ সমেত ক্ষতিপূরণ, মামলার খরচ এবং পরিষেবা মূল্য ফেরত দিতে হবে। ওয়েডিং উইশ ৬২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর সুরিন্দর পাল সিং চাহাল এবং তাঁর স্ত্রী নরেন্দ্র কউর চাহাল চণ্ডীগড়ের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালে তাঁরা তাঁদের মেয়ের জন্য যোগ্য পাত্র, যিনি হরিয়ানা সরকারের চিকিৎসক হবেন, খুঁজছিলেন। তাঁর মেয়ে হরিয়ানার একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।
চাহাল পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী ওয়েডিং উইশ তাঁদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজি হয়। সুরিন্দরের মেয়ে মাঙ্গলিক। তাই তাঁরা চণ্ডীগড়ের মধ্যেই পাত্রের সন্ধান করছিলেন। যাকে মাঙ্গলিক ও জাঠ সম্প্রদায়ের হতে হবে। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট সুযোগ বুঝে 'রয়্যাল মেম্বার’ ক্যাটাগরিতে সুরিন্দরের নাম নথিভুক্ত করে। এককালীন ৫০ হাজার টাকাও নেয়। এরপর আগামী নয় মাসে সুরিন্দরের কাছে ১৮টি পাত্রের প্রোফাইল পাঠায় সংস্থাটি। কিন্তু নিজেদের চাহিদামতো পাত্র পাননি বলেই দাবি করেন সুরিন্দার। এরপর তিনি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ভাঙতে চান ও টাকা ফেরত চান। কিন্তু সংস্থাটি টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়নি। বরং দাবি করে, সুরিন্দারের পছন্দমতো প্রোফাইলই পাঠানো হয়েছে।
এরপর সুরিন্দর ওই সংস্থাকে আইনি চিঠিও পাঠান। কিন্তু তারও কোনও জবাব দেয়নি ওই ম্যাট্রিমোনিয়াল সংস্থাটি। এরপরই ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন সুরিন্দার। প্রায় ১০ মাস পর তিনি মামলা জেতেন। আদালত ইতিমধ্যেই সংস্থাকে পুরো ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সঙ্গে আরও ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে সংস্থাটির।