মোদীর ফোনে সাড়া দেননি মমতা! 'ফণী' ঘিরে রাজনৈতিক 'সুপার সাইক্লোন' তুঙ্গে
সুপার সাইক্লোন 'ফণী' নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ১১৫ কিমি বেগে বাংলায় 'ফণী আছড়ে পড়ার খবর পেতেই কন্ট্রোল রুম খোলে রাজ্য সরকার।
সুপার সাইক্লোন 'ফণী' নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ১১৫ কিমি বেগে বাংলায় 'ফণী আছড়ে পড়ার খবর পেতেই কন্ট্রোল রুম খোলে রাজ্য সরকার। তৎপরতায় নামে রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুরসভার তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়াও রাতভর পরিস্থিতি তদারকি করেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এরপর পশ্চিমবঙ্গে 'ফণী'র বয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন আসে। আর সেই ফোন কল ঘিরেই ভোট উত্তাপের মধ্যে শুরু হয়েছে নয়া তরজা।
ফণী ও ফোন
শোনা যায়, রাজ্যে ফণীর পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নিতে রাজ্যপালকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর ফোন তো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আসার কথা, তা কেন এলো না? তাহলে কি সৌজন্যকেও ছাপিয়ে গিয়েছে রাজনীতির গণ্ডী? প্রশ্ন উঠতে থাকে, মোদী কেন মমতাকে ফোন না করে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠিকে ফোন করে 'ফণী' সম্পর্কীয় খোঁজ নেন? এর জবাব আজ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তৃণমূল শিবিরও।
|
পিএমও সূত্রের দাবি
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের জানানো হয়েছে, সুপারসাইক্লোন নিয়ে খবর নিতে একবার নয়, বরং পর পর দু'বার প্রধানমন্ত্রীর দফতর যোগাযোগ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে। প্রথম ফোনটি আসার পর , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দফতরের তরফে সাফ জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা রয়েছেন সফরে, পরে ফোন করে নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে চাপে ফেলতে অখিলেশ সঙ্গী করলেন 'বাবা'কে! পাল্টা দিলেন যোগী আদিত্যনাথ]
এরপর যা ঘটে..
এরপরও ফের একবার ফোন করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। তখনও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানিয়ে দেয় পরে ফোন করা হবে। যে ফোন কল-এর উত্তর না পেয়ে , বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করতে হয় রাজ্যপালের কাছে। আর তাঁর থেকেই প্রধানমন্তরী মোদী বাংলায় 'ফণী'র প্রভাব সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে চান। গোটা পর্ব ঘিরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।