ধর্ষণকারী ছেলে মরুক, চেয়েছিলেন বাপু, চিঠি নিলামে উঠছে লন্ডনে
মহাত্মা গান্ধীর বড় ছেলের নাম হরিলাল গান্ধী। আর হরিলালের মেয়ে মনু গান্ধী। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঠাকুরদার পাশে-পাশেই দেখা গিয়েছিল তরুণী মনু গান্ধীকে। বাবার যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচতে মেয়ে পালিয়ে এসেছিল ঠাকুরদার কাছে, সবরমতী আশ্রমে। শোনা যায়, হরিলাল সব সময় মদে চুর হয়ে থাকত। নারীলিপ্সু ছিল। এতটাই যে, নিজের মেয়েকেও রেহাই দেয়নি। মেয়ের যখন আট বছর বয়সও হয়নি, তখন তাকে ধর্ষণ করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল নাবালিকা মনুকে। এর পর বয়স কিছুটা বাড়ার পর বাবার খপ্পর থেকে মুক্তি পেতে তিনি পালিয়ে আসেন ঠাকুরদার কাছে। মহাত্মা গান্ধী ছেলের উদ্দেশে লিখেছিলেন, "দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়েও তোমার আচরণ আমার কাছে অনেক বেশি জটিল লাগছে। তোমার ব্যাপারে অনেক ভয়ঙ্কর কথা মনু আমাকে বলেছে। ও বলেছে, ওর আট বছর বয়সের আগেই তুমি ওকে ধর্ষণ করেছ। ও এতটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল যে চিকিৎসা করাতে হয়েছিল।"
আর একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "তুমি এখনও মদ এবং ব্যভিচারে আগ্রহী কি না, সেই সত্যিটা আমায় বল। মদ খাওয়ার চেয়ে তোমার মরণ হোক, এটাই আমি চাই।" আসলে বড় ছেলে নিজের নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করেছে, এই অজাচার শুনে গান্ধীজি ক্ষোভ-দুঃখে নিমজ্জিত হয়েছিলেন। তাই ছেলের মৃত্যু কামনা করেছিলেন।
২২ মে এই চিঠিগুলি নিলামে চড়বে। আশা, এক লক্ষ পাউন্ড আয় হবে নিলাম থেকে। পাশাপাশি, বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের স্বাক্ষর করা কিছু চিঠিও নিলাম হবে।
এর আগে মহাত্মা গান্ধীর ব্যবহৃত অন্তত ৫০টি জিনিস নিলামে চড়িয়েছে মুলক্স অকশনিয়ার্স। সেইগুলিও ভালো দাম পেয়েছিল।