তেলেঙ্গানার বিরোধিতায় অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা, বনধ সীমান্ধ্রে
গতকালই লোকসভায় গায়ের জোরে পাশ করা হয় তেলেঙ্গানা বিল। এর প্রতিবাদে কিরণকুমার রেড্ডি ঘোষণা করেছিলেন, তিনি পদত্যাগ করবেন। তাঁকে বারবার কংগ্রেস হাইকমান্ড বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি শোনেননি। এদিন সকালে রাজ্যপাল ইএসএল নরসিংহমের কাছে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার পর সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সে কথা ঘোষণা করেন।
বৈঠকে তিনি বলেছেন, অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় তেলেঙ্গানা বিল খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস তেলুগুভাষীদের ইচ্ছাকে সম্মান জানাল না। ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে গায়ের জোরে রাজ্য ভাগ করতে চলেছে। তাই আর কংগ্রেসে থাকা শোভনীয় নয়। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদের পাশাপাশি কংগ্রেস থেকেও ইস্তফা দেন।
এদিকে, সীমান্ধ্রে এদিন সর্বাত্মক বনধ পালিত হচ্ছে। বন্ধ দোকানপাট, স্কুল-কলেজ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশাখাপটনম, বিজয়ওয়াডা, বিজয়নগরমে বনধ সমর্থনকারীরা রেল অবরোধও করে। অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য পরিবহণ নিগমের কর্মীরা বনধে শামিল হওয়ার সরকারি বাস চলাচল করছে না। ওয়াইএসআর কংগ্রেস সুপ্রিমো জগন রেড্ডি হুমকি দিয়েছেন বৃহত্তর আন্দোলনের।
অন্যদিকে, এদিন তেলেঙ্গানা বিল রাজ্যসভায় পেশ করার চেষ্টা হলে হইচই বাধিয়ে দেন সীমান্ধ্রের সাংসদরা। তেলুগু দেশম পার্টির সাংসদ সি এম রমেশ রাজ্যসভার মহাসচিবকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি সাংসদদের সংযত হতে বললে তাঁকে গালাগালি করা হয় বলে অভিযোগ। রাজ্যসভায় যাতে বিলটি পাশ না হয়, এখন সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সীমান্ধ্রের সাংসদরা। যদিও সরকার বলেছে, এ মাসের শেষেই তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।