'এটা আমার কাছে গর্বের মুহূর্ত', আইএনএস বিক্রমাদিত্য পরিদর্শনে গিয়ে বলেলন নরেন্দ্র মোদী
মিগ-২৯ কে বোমারুবিমানের ককপিটেও বসেন প্রধানমন্ত্রী। বিক্রমাদিত্য-তে চড়ে সেখানকার কর্মী আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এর পর মোদী বলেন, "ভারতের সর্ববৃহদ বিমানবাহী রণতরীর কার্যপ্রক্রিয়া সচক্ষে দেখার ও বোঝার এই মুহূর্ত আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের"। এর পর নৌসেনা আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেন আমাদের প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম বাইরে থেকে আমদানি করতে হবে? আমাদের এবিষয়ে সাবলম্বী হওয়া প্রয়োজন।
<center><iframe width="100%" height="360" src="//www.youtube.com/embed/HdsFdSk1Lfg?feature=player_embedded" frameborder="0" allowfullscreen></iframe></center>
২০০৪ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা হয়েছিল এই বৃহদায়তন ও আধুনিক মানের বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য। এর পর প্রায় ১০ বছর পরীক্ষা চালানোর পর গত বছর নভেম্বর মাসে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয় আইএনএস বিক্রমাদিত্যকে।
এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ আনুষ্ঠানিক গার্ড অফ অনারের পর চপারে করে ৪৪,৫০০ টনের বিমানবাহী রণতরীতে উড়ে যান মোদী। এরপর একাধিক নৌবিমানের বায়ু শক্তির প্রদর্শন পান প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে যেমন রয়েছে, মিগ ২৯ কে, সি হেরিয়ার্স,পি-৮১ দূরপ্রসারী সামুদ্রিক চৌকি এবং সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধ বিমান, টিইউ ১৪২এম, আইএল ৩৮ এসডি,ডরনিয়ার্স,কামোভ প্রভৃতি। এছাড়াও দ্রুতগতির জাহাজ যেমন আইএনএস বিরাট, দিল্লি-ক্লাস ডেস্ট্রয়ার এবং তলোয়ার-ক্লাস ফাইটার প্রমুখ।
আইএনএস বিক্রমাদিত্য লম্বায় ২৮৪ মিটার। আয়তনের দিক থেকে বলতে গেলে তিনটি ফুটবল মাঠ ঢুকে যেতে পারে এই বিমানবাহী রণতরীতে। উচ্চতায় প্রায় ২০ তলা বাড়ির সমান। মোট ২২টি ডেক রয়েছে। এই রণতরীতে প্রায় ১,৬০০ কর্মী কর্মরত রয়েছেন। ৩০ টি যুদ্ধবিমান বহনের ক্ষমতা রয়েছে বিক্রমাদিত্যের।