মাতোশ্রী কি মসজিদ, সেখানে কেউ হনুমান চালিশা পাঠ করতে পারবে না? জানতে চাইলেন রাজ ঠাকরে
মাতোশ্রী কি মসজিদ, সেখানে কেউ হনুমান চালিশা পাঠ করতে পারবে না? জানতে চাইলেন রাজ ঠাকরে
আজানের পাল্টা লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা পাঠের ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে৷ তারপরই মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ নবনীত রানা উদ্ধব ঠাকরের বাড়ির সামনে হনুমান চালিশা পাঠ করতে চেয়ে গ্রেফতার হয়। এবার একটি সভা থেকে এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে মন্তব্য করলেন, মাতোশ্রী (উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন) কি কোনও মসজিদ যে সেখানে হনুমান চালিশা পাঠ করা যাবে না?
হনুমান চালিশা ইস্যুতে শিবসেনার বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণ!
রাজনৈতিক দূরত্ব থাকলেও মহারাষ্ট্রে হনুমান চালিশা পাঠ ইস্যুতে বিজেপি ও রাজ ঠাকরের দলের সাঁড়াশি আক্রমণে অনেকটাই বিপর্যস্ত শিবসেনা৷ নিজেদের হিন্দুত্ববাদী দলের ইমেজ ধরে রাখতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে শিবসেনা কে৷ রবিবারও একটি জনসভা থেকে ঠিক এ জায়াগাটিই উসকে দিলেন এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে! মহারাষ্ট্রে চলমান হনুমান চালিসা এবং নবনীত রানা দ্বন্দ্বের মধ্যে, এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে রবিবার প্রশ্ন তোলেন, কেন মাতোশ্রীর সামনে হনুমান চালিশা পাঠ করা যাবে না?
ঠিক কী বলেছেন রাজ?
মহারাষ্ট্রের পুনেতে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, এমএনএস প্রধান বলেন, 'আমি আমার দলের কর্মীদের লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বাজাতে বলার পর রানা দম্পতি (রবি এবং নবনীত রানা) বলেছিলেন যে তারা মাতোশ্রীতে হনুমান চালিসা পাঠ করবেন। মাতোশ্রী কি মসজিদ?' প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই শিব সৈনিক এবং রানা দম্পতির মধ্যে রীতিমতো লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷ নবনীত রানা এবং তার স্বামী রবি রানা মাতোশ্রীর বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ করার ঘোষণা করার পরই অশান্তি শুরু হয়। এবং পরই এই দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মোদীর কাছে, দেশের জন্য 'ইউনিফর্ম সিভিল কোর্ট' আনার দাবি রাজ ঠাকরের!
এদিন পুনের সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় রাজ ঠাকরে দেশে অভিন্ন সিভিল কোড প্রয়োগের বিষয়েও কথা বলেন৷ অতি দ্রুত এই আইনটি আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব তিনি যেন শীঘ্রই ইউনিফর্ম সিভিল কোড এবং, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একটি আইন আনেন৷ এবং ঔরঙ্গাবাদের নাম পরিবর্তন করে শম্ভাজিনগর করেন৷ ঠাকরে তার পুনে সমাবেশে ঔরঙ্গাবাদের নাম পরিবর্তন করে শম্ভাজিনগর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। এরপরই তিনি তাঁর বহুল আলোচিত অযোধ্যা সফর সম্পর্কে বলেন, যেটি তিনি নিজেই ঘোষণা করেছিলে এবং স্বাস্থ্যগত কারণে আপাতত স্থগিত করেছেন৷ ঠাকরে বলেছিলেন, 'দু'দিন আগে, আমি আমার অযোধ্যা সফর স্থগিত করার বিষয়ে টুইট করেছি। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে বিবৃতি দিয়েছিলাম যাতে সবাই তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। যারা আমার অযোধ্যা সফরের বিরুদ্ধে ছিল তারা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু আমি কোনও ভাবেই এই বিতর্কে না জড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
বিজেপি ছাড়লেন কেন, তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক জবাব বারাকপুরের সাংসদ অর্জুনের