ভারত হিন্দু রাষ্ট্র, হিন্দুত্বই পরিচয়, ফের ঝড় তুললেন মোহন ভাগবত
১৯৬৪ সালে জন্মাষ্টমীর দিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সুতরাং এ বারের জন্মাষ্টমীতে সংগঠনটির পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মোহন ভাগবত। হিন্দু ধর্ম নিয়ে বলতে গিয়ে গতকাল সন্ধেয় ভিড়ে ঠাসা সভায় তিনি বলেন, "হিন্দু ধর্ম একটি মহান ধর্ম। হিন্দুস্তান হল হিন্দু রাষ্ট্র। আমাদের দেশের পরিচয় হল হিন্দুত্ব। পরবর্তী পাঁচ বছরে আমাদের লক্ষ্য হবে ভারতের সব হিন্দুকে সমান মর্যাদায় ভূষিত করা। সব হিন্দু একই জায়গা থেকে পানীয় জল নেবেন, সবাই এক সঙ্গে প্রার্থনা করবেন, মৃত্যুর পর তাদের দেহ একই জায়গায় দাহ করা হবে।" আরএসএস কর্মীদের মতে, হিন্দুদের সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার অর্থ হল জাতপাতের অবসান ঘটানো। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ জায়গায় উঁচু-নীচ ভেদ রয়েছে। সেই বিভেদ ঘুচিয়ে হিন্দু ধর্মকে ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী ধর্মে রূপান্তরিত করাই মোহন ভাগবতের লক্ষ্য।
মোহন ভাগবতের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তিনি বলেছেন, "যিনি ইসলাম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন বা অন্য ধর্মে বিশ্বাস করেন, তিনিও কি হিন্দু? মোহন ভাগবত কি এর ব্যাখ্যা দেবেন?" তাঁর আরও মত, " ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি ব্যবহার করে আরএসএস নিরীহ মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। আমরা আমাদের সনাতন ধর্ম নিয়ে গর্বিত এবং তা অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল।"
প্রসঙ্গত, অনুরূপ কথা বলে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে কটকে একটি সভায় বলেছিলেন, "সব ভারতীয়র সাংস্কৃতিক পরিচয় হল তিনি হিন্দু। আজকের ভারতবাসী সেই মহান সংস্কৃতির উত্তরসূরি। যদি ইংল্যান্ডের লোক ইংরেজ হয়, জার্মানির লোক জার্মান হয়, তা হলে হিন্দুস্তানের লোকেরা কেন হিন্দু হবে না?"
মোহন ভাগবতের ওই উক্তি নিয়ে রে-রে করে উঠেছিল কংগ্রেস ও বামেরা। দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চাইছে সংঘ পরিবার-বিজেপি, এই অভিযোগ উঠেছিল।