বিশ্বজুড়ে 'মেড ইন ইন্ডিয়া' করোনা টিকার চাহিদা তুঙ্গে, 'ভ্যাকসিন হাব' হওয়ার পথে ভারত
জানা নেই কার্যকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, তড়িঘড়ি ভ্যাকসিনেশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এরই মাঝে ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হবে ভ্যাকসিনেশন। অন্যদিকে, ভ্যাকসিনেশনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই দুই দফায় মহড়াও দেওয়া হয়েছে। এবার ভআরতে তৈরি করোনা টিকা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিশ্বের বহু দেশ।
কেন এত তড়িঘড়ি?
কেন এত তড়িঘড়ি? কোভিড ১৯-এর দুই ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী রৈজনৈতিক দলের নেতা সহ বিভিন্ন মহল। দেশে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র পেয়েছে কোভিডের দুটি ভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন। ভ্যাকসিন দুটির কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই। তবে এরই মাঝে বহু দেশ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই টিকাকগুলি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদন জানিয়েছে।
টিকা কেনার জন্যে চুক্তি
ব্রাজিলের বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির একটি সংগঠন ভারত বায়োটেকের থেকে টিকা কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। কোভ্যাকসিনের পাঁচ মিলিয়ন ডোজ কেনার বিষয়ে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে তাদের কথাবার্তাও হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা কোভিশিল্ডের ডোজ কিনতেও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় ভ্যাকসিন কিনতে চাইছে কারা?
ব্রাজিলের অ্যাসোসিয়েশন অফ ভ্যাকসিন ক্লিনিকস ইতিমধ্যেই একটি মউ স্বাক্ষর করেছে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে। এছাড়া ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মরোক্কো, মায়ানমার, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব, নেপাল সহ একাধিক দেশ ভারত থেকে করোনা চিকা কেনার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে সরকারের সঙ্গে। জানা গিয়েছে ভারত আগে প্রতিবেশী দেশকে করোনা টিকা দেবে, তারপর অন্যান্য দেশের সঙ্গে এই সংক্রান্ত চুক্তি করবে।
টিকা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক মোদীর
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে আজ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । কেন্দ্র প্রথমে ঘোষণা করে, আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ভ্যাকসিনেশনের কাজ। যদিও শনিবার জানানো হয়, ১৩ নয়, আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হবে ভ্যাকসিনেশন। অন্যদিকে, ভ্যাকসিনেশনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই দুই দফায় মহড়াও দেওয়া হয়েছে।