ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধুয়ে গেল পাহাড়
Array
সম্প্রতি অমরনাথের মেঘ ভাঙা বৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিল ১৬ জন তীর্থযাত্রীর প্রাণ। আবারও দেখা গেল মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। তবে এবারের ঘটনা হিমাচল প্রদেশের।
কোথায় হয়েছে এই বৃষ্টি ?
জানা গিয়েছে হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলার কুমারসেন এলাকায় হয় ওই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। তবে যে সময় এই বৃষ্টি হয়েছে সেটা আরও ভয়ঙ্কর। শনিবার গভীর রাতে হয় এই বৃষ্টি। লাকার মানুষ প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে পড়ে৷ গভীর রাতে শুরু হয় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। এর জেরে একেবারে তছনছ হয়ে যায় সবকিছু৷
বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে রাস্তা
জানা গিয়েছে যে মুষলাধার বৃষ্টির জেরে জল ঢুকে গিয়েছে শিবান এবং শলৌটা পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় সমস্ত বাড়িতে। এলাকার যা রাস্তাঘাট রয়েছে তা ওই মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে বেরিয়ে গিয়েছে৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানের কচিংঘটি -শিবান মার্গ৷ বৃষ্টিতে ভেসে চলে গিয়েছে কৃষকদের মাঠ, আপেলের বাগান।
জানা গিয়েহে যে গত রাতে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে পাউছি, নাগজুব্বড় আর শিবানে৷ ২১৭ টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মার উপড়ে গিয়েছে, বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক কারণেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ গত রাত থেকে হওয়া বৃষ্টিতে ৮০ টি সড়কপথ ধুয়ে গিয়েছে। সেই রাস্তা আর রাস্তা নেই। যাঁরা এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের ত্রাণের জন্য দাবি করা হয়েছে৷
আরও বৃষ্টি
মৌসম ভবন জানিয়েছে যে, আগামী আরও তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। ২০ জুলাই পর্যন্ত ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে৷ জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।৮ জুলাই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে, যার ফলে অমরনাথ মন্দিরের কাছে বন্যা হয়ে যায়, পাহাড়ের উপরিভাগে প্রবল বৃষ্টির পর গুহার উপর থেকে ও পাশ থেকে হয় হু করে জল নেমে বহু মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ১৬ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
অমরনাথের পথে বন্যা
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর ২৮ জুলাই অমরনাথের পথে বন্যা হয়। তবে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। কেননা মহামারীর কারণে গত দুবছরে সেখানে কোনও যাত্রাই হয়নি। গতবছরে সেখানে পরবল বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয় এবং পাহাড়ের ওপর থেকে পাথর নিচে পড়তে থাকে। এই ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের বেশ কয়েকটি তাঁবুর ক্ষতি হলেও প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছিল। তহে গত বছরে ঠিক কীরকম বৃষ্টি সেখানে হয়েছিল, তা জানাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। কেননা সেখানে যাত্রা না হওয়ায় বৃষ্টি পরিমাপের কোনও যন্ত্রই সেখানে স্থাপন করা হয়নি।