পশ্চিমবঙ্গ-সহ ইউপিএ সরকারের নিয়োগ করা ৭ রাজ্যপালদের পদত্যাগ নিয়ে বাড়ছে চাপ
বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়ন স্বামী এদিন বলেন, "রাজ্যপালেদের উচিত নিজে থেকেই পদত্যাগ করা। তাঁরা কেউ মেধার জোরে এই পদ পাননি। তারা এই পদ পেয়েছে কারণ তাঁরা প্রত্যেকে সোনিয়া গান্ধীর দরবারে বসতেন।"
মূলত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়োগ করা ৬ রাজ্যরালের অপসারণ চাইছে মোদী সরকার, এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর স্বামী এই মন্তব্য করেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হল, কেরালার রাজ্যপাল শীলা দীক্ষিতের। দিল্লিতে টানা ১৫ বছর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার পর শেষ বিধানসভা ভোটে জঘন্য হার হয় কংগ্রেসের। এর পর তাঁকে কেরালার রাজ্যপাল করার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস।
কেরালা,বাংলা,রাজস্থান,গুজরাত,মহারাষ্ট্র ও ত্রিপুরার রাজ্যপালরা রয়েছেন এই তালিকায়
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেরালার রাজ্যপালের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ,রাজস্থান,গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং ত্রিপুরার রাজ্যপালদের ঘাঁড়ের কাছে খাঁড়া ঝুলছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতে চাপে রয়েছেন তাঁরাও।
২০০৪ সালে ইউপিএ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপির নিয়োগ করা রাজ্যপালদের অপসারণ করা হবে। এর ফলে বিতর্ক তৈরি হয়। বিজেপির এক সাংসদ বিষয়টি নিয়ে শী৪য আদালতের দ্বারস্থ হন। ২০১০ সালে শীর্ষ আদালত থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী নয় রাজ্যপাল এবং সেই কারণেই তাঁদের সরানো যাবে না। শুধুমাত্র বাধ্যতামূলক কারণে অর্থাৎ অনিয়ম বা অসদাচরণের কারণে রাজ্যপালকে সরানো যেতে পারে।
বিজেপির আর এক নেতা সুশীল মোদী বলেন, শীর্ষ আদালত জানিয়েছে রাজ্যপালকে ঝোঁকের বসে সরানো যাবে না, সরানোর জন্য যথাযুক্ত কারণ থাকতে হবে। ২০০৪ সালে ৪ রাজ্যপালকে ইচ্ছানুসারে সরানো হয়েছিল। তাহলে সোনিয়া গান্ধীর নিয়োগ করা রাজ্যপালরাই বা কেন সরবেন না।
এদিকে মিডিয়া সূত্রে খবর, আট মন্ত্রীকে আপ্তসহায়ক, শীর্ষ আমলা, যাঁরা ইউপিএ সরকারের আমলে কাজ করেছিলেন তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে আটকেছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। এই মন্ত্রীদের মধ্যে রাজনাথ সিং ও স্মৃতি ইরানিও রয়েছেন।