তেলেঙ্গানার মন্দিরে পুজোর অপেক্ষায় ভগবান, উচ্চ পারিশ্রমিকের দাবিতে ধরনায় পুরোহিতেরা
হায়দ্রাবাদ, ৬ জুন : মন্দিরে তালা ঝুলছে। ভগবানের প্রার্থনায় করজোরে নেই মন্দিরের পুরোহিতেরা। তেলেঙ্গানার মন্দিরের পুরোহিতেরা আপাতত হরতালে। তাদের দরবার এখন রাজনৈতিক শক্তিশালী নেতানেত্রীদের কাছে। দাবি পারিশ্রমিক বাড়ানোর, সরকারি কর্মচারিদের মাস মাইনের সঙ্গে সমতা আনার।
প্রায় ৬,০০০ পুরোহিত, আচারক কালো ব্যাজ পরে এখন সামিল হয়েছেন ধরনায়। বাইকে স্লোগান দিতে দিতে চলছে এই প্রতিবাদ। তাঁদের দাবি, বৃত্তিদান দফতরের রাজ্য সরকারের কর্মীরা যে পরিমাণ মাইনে পান সেই একই পরিমাণ পারিশ্রিমিক তাদেরও প্রাপ্য। তাদের দাবি, সরকারি কর্মচারিরা প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা বেতন পান। অথচ তাঁরা প্রতি মাসে মাত্র ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পান।
চিক্কাড়পল্লির ভেঙ্কটেশ্বরা মন্দিরের পুরোহিত চক্রদারি আচারুলুর কথায়, কোনও পরিবারের তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে চায় না এই পুরোহিত পরিবারে। কারণ তাদের বেতন অত্যন্ত কম। মাসে ৩,০০০-৪,০০০ টাকায় দিন গুজরান খুবই মুসকিলের হয়। বিশেষত হায়দ্রাবাদের মতো এলাকায় যেখানে বাঁচার জন্য প্রতিমাসে অন্তত ১০,০০০-১৫,০০০ টাকা চাই।
এর ফলে মূলত বৃহস্পতিবার থেকে তেলেঙ্গানার ২০০০ টি বড় মন্দির ও ১০,০০০টি ছোট মন্দির প্রায় সারাদিন ধরেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
এক পুরোহিতের কথায়, শুধুমাত্র ভোরের পুজোটুকুই করছি আমরা। বাকি অর্চনা সেবা, আরতি সবই বন্ধ।
তেলেঙ্গানা আর্চক কমিটির সভাপতি ভানুমূর্তি বলেন, তেলেঙ্গানা জন্মের সময় আমাদের আশা ছিল পুরোহিতদের দাবি শোনা হবে। আমরা এই একই দাবি গত ১৫-২০ বছর ধরে জানিয়ে আসছি। তেলেঙ্গানার জন্মের পরও আমাদের বেতনে কোনও পরিবর্তন আসেনি। আমাদের ধারণা আমাদের আওয়াজ যদি মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছয় তবেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
কেউ আচারক হতে প্রস্তুত নয়, এই অবস্থা থাকলে মন্দিরগুলি চলবে কী করে, প্রশ্ন তেলেঙ্গানা আর্চক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রঙ্গা রেড্ডির।