অপহরণকারীকে বিয়ে তরুণীর, অপহরণের তত্ত্ব খারিজ করে ভিডিও পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়
অপহরণকারীকে বিয়ে তরুণীর, অপহরণের তত্ত্ব খারিজ করে ভিডিও পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়
একেই বোধহয় বলে কাহানি মে টুইস্ট। অপহরণকারীকেই বিয়ে করে বসলেন অপহৃত তরুণী। জানা গিয়েছে, একটি মেয়েকে মুসলিম যুবক ও অন্য পাঁচজন মিলে অপহরণ করে। কিন্তু তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় অপহরণের অভিযোগ খারিজ করে জানিয়ে দেন যে তিনি অপহরণকারীকে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের কথা স্বীকার
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে অপহরণের সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত সলমনের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে মেয়েটি এবং তরুণী স্বীকার করেছেন যে তিনি ও সলমন একে-অপরের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে সম্পর্কে রয়েছেন এবং তাঁরা বিয়ে করে নিয়েছেন। তরুণী এও জানান যে কেউ তাঁকে তাঁর ধর্ম বদল করার জন্য জোর করেনি।
অপহরণের অভিযোগ মেয়ের বাবার
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মুরাদাবাদ পুলিশ, সলমন এবং তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছে, তারা বলেছে যে তারা ভিডিও ক্লিপটি খতিয়ে দেখছে এবং নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও মেয়েটির বাবার অভিযোগ যে ওই ভিডিওটি ভুয়ো এবং তাঁর মেয়েকে দিয়ে অভিযুক্ত জোর করে এইসব বলিয়েছে এবং বয়ান রেকর্ড করেছে। মেয়েটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, 'সলমনের খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে। আমার ও আমার পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার দুর্ব্যবহার করেছে সলমন ও তার ভাইয়েরা ও আচ্মীয়রা। তারা আমাদের হুমকিও দিয়েছে। ওই ভিডিও ক্লিপটি ভুয়ো এবং আমার মেয়েকে দিয়ে জোর করে এইসব বলিয়েছে।'
নতুন করে তদন্তের নির্দেশ
মুরাদাবাদের এসপি অমিত কুমার আনন্দ বলেন, 'এই মামলাটি ইতিমধ্যে তদন্তের আওতায়। মেয়েটির পরিবার তাঁদের প্রতিবেশীদের ওপর অপহরণের মামলা করার পর মেয়েটির খোঁজে দল গঠন করা হয়েছে। তবে একটি ভিডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। যেখানে মেয়েটি জানিয়েছেন যে তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে সলমনকে বিয়ে করেছেন, এই সলমনই এই মামলায় মূল অভিযুক্ত। পরিবারের চাপানো ধর্মান্তরের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন ওই তরুণী।' এসপি জানিয়েছেন যে ভিডিওটিকে গুরুত্ব হিসাবে খতিয়ে দেখা হচ্চে এবং নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লাভ জিহাদ
উত্তরপ্রদেশে 'লাভ জিহাদ' নিয়ে যথেষ্ট কড়াকড়ি রয়েছে। 'লাভ জিহাদ'-এর বিরুদ্ধে আইনও আনা হয়েছে এ রাজ্যে। তবে উত্তরপ্রদেশ বাদে মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং কর্নাটকে এই আইন আনা হয়েছে। এই চার রাজ্যই বিজেপি শাসিত। প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছে যে এক শ্রেণির মুসলমান যুবক হিন্দু নারীদের কাছে প্রেমের অভিনয় করে এবং ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে বিয়ে করে। তাদের কথায়, লাভ বা প্রেমের মাধ্যমে জিহাদ করা হচ্ছে এভাবে। গত বছর লাভ জিহাদের জেরে দেশের জনপ্রিয় গয়নার ব্র্যান্ড তনিষ্ক তাদের বিজ্ঞাপন তুলে নিতে বাধ্য হয়। তবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি লাভ জিহাদের কোনও ঘটনা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি।