ছয়মাসের মধ্যেই নিতে হবে করোনা'র বুস্টার ডোজ! সামনেই বড় ঘোষণা?
নতুন করে একাধিক দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। যা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের মধ্যে। যদিও ভারতে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যের সংক্রমণ ক্রমশ মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠছ
নতুন করে একাধিক দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। যা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের মধ্যে। যদিও ভারতে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যের সংক্রমণ ক্রমশ মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় আজ বুধবার জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আর সেই বৈঠকে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। আর এর মধ্যেই দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমাতে চলেছে সরকার। এমনটাই জানাচ্ছে সরকারি একটি সুত্র।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই সুত্র জানাচ্ছে, এখন করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার মধ্যে নয় মাসের ব্যবধান রয়েছে। এবার সেই ব্যবধান কমিয়ে ছয়মাস করার ভাবনা সরকারের। এমনটাই দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সরকারি আধিকারিক।
তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে খুব শিঘ্রই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আইসিএমআর এবং অন্যান্য সংস্থা মানব শরীরের অ্যান্টিবডি'র স্থায়ত্ব একাধিক গবেষণা চালায়। আর তাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার ছয়মাসের পর থেকে অ্যান্টিবডির সংখ্যা কমতে শুরু করে। আর তখনই বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আর তখনও মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় বলে দাবি করছে ওই সমীক্ষা। আর তা মাথায় রেখেই দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময়সীমা কমানোর ভাবনা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। এমনটাই দাবি ওই সুত্রের।
সম্প্রতি ভারতেও চতুর্থ ওয়েভের একটা আশঙ্কা রয়েছেই! জুন-জুলাই মাসে তা আছড়ে পড়তে পারে বলে দাবি গবেষকদের। আর এই অবস্থায় দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। নির্দেশ অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার নয় মাসের মধ্যে এই বুস্টার ডোজ নিতে হবে।
আর সেই সময়সীমাই কমাতে চলেছে সরকার।