কৃষক, দরিদ্র, গ্রামীণ বিকাশ, আসন্ন বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে এই তিন ক্ষেত্রকে
কৃষক, দরিদ্র, গ্রামীণ বিকাশ, আসন্ন বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে এই তিন ক্ষেত্রকে
করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের গতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। এছাড়াও দেশের কৃষিক্ষেত্র এবং তার সঙ্গে জড়িত ক্ষেত্রগুলি সরকারকে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে। সরকার কৃষি ও কৃষিকাজ সম্পর্কিত দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খেয়াল নিয়েছে এই করোনা আবহের মধ্যেও এবং কৃষিক্ষেত্রে উন্নতির বাতাসকে তীব্র করতে নতুন আইন করেছে। যদিও এই আইন নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় হয়ে উঠেছে দেশ। এরকম পরিস্থিতিতে আসন্ন বাজেটে মোদী সরকার গ্রামীণ, দরিদ্র ও কৃষকদের অগ্রাধিকার দেবে কৃষিক্ষেত্র ও গ্রামীন বিকাশের মধ্য দিয়ে।
কৃষকদের আয় দ্বিগুণের লক্ষ্যে সরকার
২০২০-২১ সালের অর্থনৈতিক পর্যালোচনার মতে, শিল্প ও পরিষেবা খাতগুলি চলতি অর্থবছরে যথাক্রমে ৯.৬ শতাংশ এবং ৮.৮ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কৃষিক্ষেত্র ও সহযোগী খাতের প্রবৃদ্ধির হার ৩.৪ শতাংশে থাকতে পারে। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করাই লক্ষ্য মোদী সরকারের এবং দেশের দরিদ্রদের জন্য পাকা বাড়ি করে দেওয়া সহ গ্রামে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন করাও সরকারের লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে। সুতরাং এই লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য, আসন্ন বাজেটে কৃষিক্ষেত্র ও গ্রামীণ উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ অর্থ সরকার বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গুরুত্ব পাবে কৃষিক্ষেত্র
কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (পিএম-কিষাণ) সহ কৃষিক্ষেত্রের সমস্ত প্রকল্প সম্পর্কে কৃষকদের সচেতনতা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই প্রকল্পগুলির সুবিধা প্রাথমিক স্তরে দেখা যেতে শুরু করেছে। সাশ্রয়ী সুদ সহ স্বল্প মেয়াদী ঋণ কৃষকদের দেওয়ার প্রকল্পের ওপর মনোযোগ দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী কৃষি-সেচ প্রকল্প সহ কৃষিক্ষেত্রের অন্যান্য প্রকল্পগুলি এই বাজেটে প্রাধান্য পাবে বলে জানা গিয়েছে। এগ্রিকালচার ইকোনমিস্ট জানিয়েছে কৃষিক্ষেত্রের পাশাপাশি সরকার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের পরিকল্পনাগুলিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে যা কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
অর্থ বাড়ানো হতে পারে মনরেগার
গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য বড় বড় প্রকল্পগুলি করোনা কালে শহরগুলি থেকে পরিযায়ী কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানে খুব সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছিল। মনরেগার অন্তর্গত গ্রামের দৈনিক শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হয়েছে, যাতে গ্রামের সঙ্কট পরিস্থিতিতেও পরিকাঠামোকে সচল রেখে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এই বাজেটে তাই মনরেগার বরাদ্দ অর্থ বৃদ্ধি পেতে পারে। ২০২০-২১ সালে মনরেগার বরাদ্দ অর্থ ছিল ৬১,৫০০ কোটি, তবে করোনার কালে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্যাকেজের আওতায় এই প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হয়েছিল ৪০,০০০ কোটি টাকা।
এমএসপি নিয়েও ঘোষণার সম্ভাবনা
নতুন তিনটে কৃষি আইনের সংস্কারের দাবি নিয়ে কৃষকরা গত ২ মাস ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনে অনড় হয়ে রয়েছেন। তাঁদের দাবি, নুন্যতম সমর্থম মূল্যে তাঁদের ফসল বিক্রির আইনত গ্যারান্টি দিতে হবে সরকারকে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে কৃষকদের আন্দোলনে এমএসপি একটি বড় সমস্যা, সুতরাং এমএসপি সম্পর্কিত বাজেটেও কিছু ঘোষণা করা হবে আশা করা যায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আসন্ন ২০২১-২২ সালের আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেট ঘোষমা করবেন সংসদে সোমবার।
বাজেট ২০২১: রাজ্যসভায় অধিবেশন সম্পর্কে কী জানালেন বেঙ্কাইয়া নাইডু