অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে মঙ্গলবারই বড় সিদ্ধান্ত! আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন তৃণমূল নেতাও?
আপাতত আরও কয়েকটা দিন আসানসোল জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে! ফলে তাঁকে হেফাজতে পেতে আরও বেশ কিছুটা সময় ইডির লাগতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ জেরা শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। নিয়ম অনুযায়ী গ্রে
আপাতত আরও কয়েকটা দিন আসানসোল জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে! ফলে তাঁকে হেফাজতে পেতে আরও বেশ কিছুটা সময় ইডির লাগতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ জেরা শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। নিয়ম অনুযায়ী গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আদালতে তুলতে হয় অভিযুক্তকে।
সেই মতো আজ শুক্রবার দিল্লির রাইস অ্যাভিনিউ আদালতে কেষ্টার নামে 'প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট' জারি করার জন্যে ইডি আবেদন জানায়। দিল্লির আদালত ইতিমধ্যে সেই আবেদন গ্রহণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে আজ শুক্রবার কোনও নির্দেশ দেয়নি দিল্লির রাইস অ্যাভিনিউ আদালত।
তবে আগামী মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। ফলে আগামী মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন আদালত কি নির্দেশ দেয় সেদিকেই নজর রয়েছে। তবে আদালত এই সংক্রান্ত মামলাতে কোনও নির্দেশ না দেওয়াতে আপাতত আসানসোল জেলেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল।
সায়গলের মুখোমুখি অনুব্রত!
অন্যদিকে আজ দিল্লির ওই আদালতে ফের একবার তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলকে। দীর্ঘ শুনানি শেষে তাঁর আগামী ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ শুনিয়েছে আদালত। জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে সায়গলের মুখোমুখি সম্ভবত বসানো হতে পারে। আর সেই সংক্রান্ত প্রস্তুতি ইতিমধ্যে ইডির তরফে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আজ শুক্রবার আসানসোল আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বেশ কয়েকজন আইনজীবী এবং তৃণমূল নেতা। বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা পর তাঁরা বেরিয়ে যান বলে জানা জাছে। তবে কি কথা হয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে আইনি পথে লড়াই নিয়েই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
বলে রাখা প্রয়োজন, গরু পাচার মামলাতে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর সেই মামলার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকি ব্যাপক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই সমস্ত সম্পত্তি কীভাবে এবং কোন টাকাতে কেনা হয়েছে এই সমস্ত বিষয়ে উত্তর চান ইডির আধিকারিকরা। এমনকি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামেও বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে সুকন্যাকে যেরা করা হলেও তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। সমস্তটাই বাবা অনুব্রত জানেন বলে তদন্তকারীদের জানান।
অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
আর এরপরেই এই বিষয়ে তদন্ত করছে বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলে যান তদন্তকারীরা। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘ্যন্টা জেরা করা হয়। একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে যান বলে খবর। এরপরেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। যদিও এই মামলাতে আগেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই।