ন্যায় বিচার জরুরি, দিল্লি হিংসার ঘটনায় ২ সপ্তাহের মধ্যে পৃথক চার্জশিট দেওয়ার নির্দেশ আদালতের
ন্যায় বিচার জরুরি, দিল্লি হিংসার ঘটনায় ২ সপ্তাহের মধ্যে পৃথক চার্জশিট দেওয়ার নির্দেশ আদালতের
দিল্লি হিংসার মামলা নিয়ে বড় নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এই মামলায় যাতে দোষীরা যথাযথ সাজা পান. এবং আক্রান্তরা ন্যায় বিচার পান তার জন্য আলাদা করে দিল্লি পুলিশকে চার্জশিট দাখিল করতে বলেছে দিল্লি কোর্ট। ২ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। ২৪ বছরের যুবকের হত্যার মামলার জন্য আলাদা করে চার্জ শিট দিতে বলা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে গোধরা কাণ্ডের মত যেন একসঙ্গে গোটা বিচার প্রক্রিয়া না হয় সেকারণে আলাদা করে চার্জশিট পেশ করতে হবে। এতে বিচার প্রক্রিয়া সহজ হবে। এবং অভিযোগ কারী ন্যায় বিচার পাবে বলে জানিয়েছে আদালত।
দিল্লি হিংসার ঘটনা নিয়ে মামলা চলছে দিল্লি আদালতে। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে আদালত দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছে এই ঘটনায় ২৪ বছরের যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে তার জন্য যেন আলাদা করে চার্জশিট দেয় দিল্লি পুলিশ। একটি মাত্র এফআইআরের ভিত্তিতে ৩ হিন্দু এবং ২ মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তি যৌথ ট্রায়াল হচ্ছে এই মামলায়। তাতের বিরুদ্ধে দাঙ্গার অভিযোগ রয়েছে। সলমান নামে এক ব্যক্তিকে দাঙ্গার সময় গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লির শিববিহার এলাকায় দাঙ্গাকারীরা তাঁকে গুলি করে হত্যাকরে বলে অভিযোগ।
দিল্লির দাঙ্গার মূল ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনাকে মেলালে চলবে না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বিনোদ যাদব জানিয়েছেন, একসঙ্গে দুটি মামলার ট্রায়াল হয়ে অনেক সময় অভিযুক্তের নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ থাকে না আবার অনেক সময় বিচার প্রার্থনাকারীরাও সঠিক বিচার পাননা বলে অভিযোগ করেন । সেই সমস্যা মেটাতে আলাদা করে চার্জশিট দেওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন বিচারক। সেকারণেই দিল্লি পুলিশকে আলাদা করে এই মামলার চার্জশিট দিতে বলা হয়েছে।
বিচারক দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি জয় এন তিরকেকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোর্টে আলাদা করে চার্জশিট তৈরি করে যেন বিচারক জবাব দেন। কারণ তিনি জানিয়েছেন গোধরা দাঙ্গা মামলার ক্ষেত্রেও গুজরাত আদালতে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তেও গুজরাত হাইকোর্ট আলাদা করে চার্জশিট জমা দিয়ে বলেছিল পুলিশকে। তারপরেই আদালত জানায় আলাদা করে বিচার প্রক্রিয়া করা হবে। আদালত পুলিশকে জানিয়েছে এফআইআরে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আলাদা করে চার্জশিট দেওয়ার।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭(দাঙ্গা), ১৪৮(ধারাল অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা করা), ১৪৯( অনৈতিক ভাবে জমায়েতের অংশীদার হওয়া এবং একই অপরাধে সামিল হওয়া)১৫৩-এ(ধর্মের ভিত্তিতে হামলা), ৩০২(খুন)৪৩৬(আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা), ৫০৫(প্রাণ নাশের প্রবনতা), ১২০-বি(ষড়যন্ত্র),৩৪( একই উদ্দেশ্য) ধারায় মামলা করা হয়েছে।