২০১৯ ভোটের আগে ছত্তিশগড়ের কেন বিজেপি নেতাকেই নিশানা করে মাওবাদীরা! পরিসংখ্যান ঘিরে কিছু তথ্য
ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর ৪ জন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর ঘটনা ভোটের আগে রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর ৪ জন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর ঘটনা ভোটের আগে রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। প্রথমদফা ভোচের ৪৮ ঘণ্টা আগে মাওবাদীদের হাতে আইইডি বিস্ফোরণের এই হত্যাকাণ্ড রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে। রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে ছত্তিশগড়ের এই রক্তাক্ত ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে বেশ কিছু পরিসংখ্যানকে দেখিয়ে দিচ্ছে। যার সূত্র ধরে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের এই নিয়ে ৩৯ টি মাওবাদী হানার ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
পরিসংখ্যান কী বলছে?
সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টাল এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৭ এপ্রিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে ২৮ টি মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এরপর ৯ এপ্রিল বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনা । সবমিলিয়ে পরিসংখ্যান বলছে কেন্দ্রে বিজেপি শাসনের সময়ই মাও হিংসা ক্রমেই কমেছে ।
উইপিএ ও এনডিএ আমলে মাও হামলার তথ্য
২০১০ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সময় সারা দেশে মাও হামলার সংখ্যা ছিল ৬২৭টি। এরপর বিজেপির আমলে ২০১৪ সালে সেই হামলার সংখ্যা পৌঁছয় ১২৭ টিতে। বর্তমানে ২০১৯ সালে এখনও পর্যন্ত মাওবাদী হিংসার সংখ্যা সারা দেশ ৩৯ টি।
কেন বিজেপি কনভয়কেই নিশানা?
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে বিজেপির আমলে কংগ্রেস শাসনের চেয়ে মাও হিংসার পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। আর বিভিন্নভাবে মাওবাদীদের দমনে সাঁড়াশি চাপের সাহায্য নিয়েছে পদ্মশিবির। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা সেইজন্যই বিজেপি নেতাদের নিশানায় রাখছে মাওবাদীরা। আর এরু ফলশ্রুতি মঙ্গলবারের দান্তেওয়াড়ায় বিজেপি বিধায়কের হত্যার ঘটনা।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রাফালে পর্যালোচনা! বিপদ বাড়তে পারে অনিল আম্বানির]