সিপিএম ভেঙে নতুন পার্টি! পার্টি কংগ্রেসের চোরাস্রোতে ‘তাসের ঘর’ হওয়ার অপেক্ষা
পার্টি লাইন ঠিক করতে দুভাগে বিভক্ত সিপিএম। কলকাতা প্লেনামে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেস তাকেও ছাপিয়ে গেল।
পার্টি লাইন ঠিক করতে দুভাগে বিভক্ত সিপিএম। কলকাতা প্লেনামে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেস তাকেও ছাপিয়ে গেল। দ্বিতীয় দিনেই পরিস্থিতি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, যেকোনও মুহূর্তে দুভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। প্রকাশ কারাত শিবির এতটাই আগ্রাসী যে, ইয়েচুরি শিবিরের সঙ্গে সংঘাত চরমে উঠছে পার্টি কংগ্রেসে।
সীতারাম ইয়েচুরি পার্টির সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু কারাত লবির প্রভাবে পার্টির প্রধানই এখন কোণঠাসা। ফলস্বরূপ পার্টির সাধারণ সম্পাদকের খসড়া প্রস্তাবের আগেই নজিরবিহীনভাবে প্রস্তাব পেশ করেছেন প্রকাশ কারাত। এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গাতে পৌঁছে গিয়েছে যে, তৃতীয় দিনে ইয়েচুরিকে জবাবি ভাষণ পর্যন্ত দিতে দেওয়া হবে কি না সন্দেহ।
এই অবস্থায় পাল্টা চাল দিয়েছেন রাজনীতিতে যুযুধান সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি চাপ কাটাতে গোপন ভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন। অর্থাৎ পার্টি লাইন ঠিক করতে ফের ভোটাভুটি হবে সিপিএমে। আজ পর্যন্ত সিপিএমের ইতিহাসে এই ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু কারাত লবি ও ইয়েচুরির লবির মতানৈক্যের জেরে সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টিতে।
কলকাতা প্লেনামে সীতারাম ইয়েচুরি শিবির ভোটাভুটিতে হেরেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি নিশ্চিত সেই ভোট গোপন ব্যালটে হলে, রায় তাঁর দিকেই যাবে। অনেকেই প্রকাশ কারাত ও পিনারাই বিজয়নদের উপস্থিতিতে তাঁদের বিরুদ্ধে হাত তুলতে পারেনি। তাদের মধ্যে সিংহভাগই তাদের সঙ্গে সহমত বলেই দাবি সীতারাম ইয়েচুরি শিবিরের।
এমতাবস্থায় যে শিবিরই জিতুক বা হারুক, সিপিএম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। পার্টি কংগ্রেসে সরাসরি নয়া পার্টির পক্ষে সওয়াল করতেও শোনা গিয়েছে এক প্রতিনিধিকে। মহারাষ্ট্রের উদয় নারভেলকর সরাসরি পার্টি ভেঙে নতুন পার্টি গঠনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর দাবি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পুরনো পার্টি লাইন আঁকড়ে থাকলে আখেরে কিছু লাভ হবে না।
এটা
যখন
পার্টির
সংখ্যাগুরু
অংশ
বুঝছে
না,
তখন
নতুন
পার্টি
গড়ে
তোলাই
শ্রেয়
বলে
তিনি
মনে
করেন।
নতুন
রূপে
ভারতের
কমিউনিস্ট
পার্টি
এলে,
তা
অনেকের
কাছেই
গ্রহণযোগ্য
হবে
বলে
বিশ্বাস
ইয়েচুরি
শিবিরের
সদস্যদের।
ফের
প্রাসঙ্গিকতাও
ফিরে
আসতে
পারে
দলের।
পশ্চিমবঙ্গ
ও
ত্রিপুরায়
ক্ষমতায়
ফিরতেও
সহযোগী
হতে
পারে
এই
সিদ্ধান্ত।