১০,০০০-র নীচে নামল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, ৫৩৯ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা
১০,০০০-র নীচে নামল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, ৫৩৯ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা
আরও কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। ১০ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ৯,১১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দেশে মারা গিয়েছেন ৩৯৬ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখ যোগ্য হারে কমতে শুরু করেছে দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০,২৬৪ জন।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তাতে আশার আলো দেখছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা টিকাকরণেও। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের অবস্থা তেমন ভাল নয়। রাজ্যে করোনা দৈনিক সংক্রমণ এখনও ৮০০-র উপরে রয়েছে। যেখানে ২০০-৩০০-তে নেমে গিয়েছিল। সেখানে দুর্গাপুজোর পর থেকে বাংলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এই নিয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। করোনা টিকাকরণেও দ্রুত গতি আনা হচ্ছে। ১০০ কোটির মাইল স্টোন পার করেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত দেশে ১৩২ কোটির বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের সকলকে করোনা টিকাকরণের ডোজ দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইউরোপের একাধিক দেশে ফের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সেখানে একাধিক জায়গায় ফের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গাতেই মানুষ সেটা মানতে চাইছেন না। তার জন্য জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে একাধিক জায়গায়। আইন ভঙ্গ করে রাস্তায় বেরনোয় অনেকজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে ভারতে কর্নাটকে একই কলেেজর ৬৬ জন পড়ুয়া একসঙ্গে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের সকলেরই দুটি ডোজের করোনা টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে আবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে মহারাষ্ট্রে ১ ডিসেম্বর থেকে স্কুল খুলছে। গ্রামথেকে শহর সর্বত্র স্কুল খুলে দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। পশ্চিমবঙ্গেও খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। চালু করা হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবাও।