তলোয়ারের কোপে অফিসারের হাত বিচ্ছিন্নের ঘটনার পর ফের পুলিশকে চরম আক্রমণ! শুরু চাঞ্চল্য
তলোয়ারের কোপ অফিসারের হাত বিচ্ছিন্নের ঘটনার পর ফের পুলিশকে চরম আক্রমণ! শুরু চাঞ্চল্য
কেটেছে মাত্র কয়েকটা দিন। রবিবার পাঞ্জাবে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের হাত তলোয়ারের এক কোপে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো ঘটনায় প্রবল উদ্বেগ জন্মায় গোটা দেশে। পাঞ্জাবের পাতিয়ালার সেই ঘটনার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। কেন্দ্রের তরফে গাইডলাইনে বলা হয় যে কর্তব্যরত কাউকে লকডাউনে মারধর করলেই প্রবল শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তবে ,লকডাউনের মধ্যেও আইনভাঙার আরও এক নারকীয় দৃষ্টান্ত দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে।
মোরদাবাদের ধর্মীয় স্থানের কাছে উত্তেজনা!
উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের হাজি নেব মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এদিন স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছন করোনা টেস্টিং এর জন্য। সেখানে তাঁরা পৌঁছতেই তাঁদের ঘিরে ধরে এলাকাবাসী। শুরু হয় বচসা। যা পরে মারধর পর্যন্ত গড়ায়।
'বিশাল জনতা' ঘিরে ধরে..!
যে গাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীরা যাচ্ছিলেন সেই গাড়ি র চালক প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে জানিয়েছেন, গাড়ি এলাকায় ঢুকতেই 'বিশাল জনতা' ঘিরে ধরে গাড়িটি। এরপর শুরু হয় মারধর, পাথর বৃষ্টি শুরু হয়। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী সকলেই সেখানে আহত হন।
পুলিশকে আক্রমণ
এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাতে রোগী ছিলেন, কিন্তু তাকেও ছাড়েনি এলাকাবাসীরা। সেখানেও পরপর পাথর বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আসা পুলিশকেও রেয়াত করেনি স্থানীয় জনতা। প্রবল পাথর বর্ষণ করা হয় তাঁদের উপরেও।
লকডাউন ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা!
স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা যাতে বজায় থাকে, তার জন্য ইন্দোর ও বেঙ্গালুরুর ঘটনাকে নজরে রেখে সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল যে, যেখানেই করোনা টেস্টিং এর জন্য বা কর্তব্যের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা যাবেন,সেখানে যেন উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তা বজায় থাকে। আর এদিন পুলিশ সঙ্গে থাকা অবস্থাতেও যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশে এমন ঘটনা ঘটেছে।