ক্ষমতায় ফিরছি, ইস্তাহার প্রকাশের পর দাবি প্রত্যয়ী রাহুলের
ইস্তাহার প্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, "বিজেপি প্রচারটা ভালো করতে জানে। ২০০৪ সালে তারা 'ইন্ডিয়া শাইনিং' প্রচার চালিয়েছিল। ভারত নাকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন সমীক্ষায় দাবি করা হয়, বিজেপি-ই ক্ষমতায় ফিরছে। ফল কী হয়েছিল, সবাই জানে। ২০০৯ সালেও তাই হয়েছিল। এবারও বলা হচ্ছে, বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু আমি বলছি, কংগ্রেসই ফিরবে ক্ষমতায়। আমি ৯০ শতাংশ নয়, ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।"
কংগ্রেসের সহ-সভাপতির আরও ব্যাখ্যা, ভারতের সিংহভাগ মানুষ গরিব। এদের কথা ভাবতে হবে। কংগ্রেস ভেবেছে। তাই বারবার ক্ষমতায় ফিরেছে। গত দশ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু বিজেপি গরিব মানুষের কথা ভাবেনি। ফল কী হয়েছিল, ২০০৪ সালের লোকসভা ভোট তার সাক্ষী।
নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে আপনার কী মত? রাহুল বলেছেন, "ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে ওঁর কোনও লড়াই নেই। ব্যক্তিগতভাবে ওঁর বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। উনি একটা মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেই মতাদর্শ হল মানুষের সঙ্গে মানুষের লড়াই বাধিয়ে দেওয়া। আমার আপত্তি সেইখানে। সেই মতাদর্শগত জায়গা থেকে ওঁর আমি বিরোধিতা করছি।"
এদিকে, কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারকে 'পবিত্র পুস্তিকা' বলে বর্ণনা করেছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, "অন্যান্য দলের মতো এটা নিয়মমাফিক কিছু একটা প্রকাশ করা নয়। বরং দলের নির্বাচনী ইস্তাহার হল আমাদের কাছে একটা পবিত্র পুস্তিকা। আমরা সেই ভারতের জন্য লড়ছি, যা সবার কাছে আপন। এই নির্বাচনে কংগ্রেস জোর দিচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের স্বার্থে লড়ার। এই নির্বাচন ভারকে অখণ্ড রাখার নির্বাচন। এই নির্বাচন ভারতের সংবিধানের সম্মানরক্ষার স্বার্থে।"
রাহুল
গান্ধী
বলেন,
"এই
ইস্তাহারে
মানুষের
কথা
তুলে
ধরা
হয়েছে।
আমরা
বন্ধ
দরজার
পিছনে
বসে
ইস্তাহার
বানাইনি।
মানুষের
মতামত
নিয়েছি।
ব্যবসায়ী,
মহিলা,
মুটে,
যুবক
সবার
কাছ
থেকে
মতামত
চেয়েছি।"
তাঁকে
সমর্থন
করে
প্রধানমন্ত্রী
মনমোহন
সিং
বলেন,
"আমাদের
সময়
১৪
কোটি
মানুষকে
দারিদ্র্যসীমার
ওপরে
তুলে
এনেছি।
কংগ্রেসই
গরিব
মানুষের
কথা
ভাবে।"
এদিন
মনমোহন
সিংও
দাবি
করেন,
কংগ্রেস
ফের
ক্ষমতায়
ফিরবে।
কেন্দ্রে
গঠিত
হবে
তৃতীয়
ইউপিএ
সরকার।