নিঃশব্দ প্রচার থেকে এবিসি পলিসি, চুপচাপ হাতে ছাপ পদ্ধতিতে গুজরাতে প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস
চুপচাপ হাতে ছাপ। এই পদ্ধতিতে গুজরাতে এগোতে চাইছে কংগ্রেস। তাই ভোটের মুখে এসে প্রচার নয়। তাঁরা দলের প্রচার শুরু করেছে অন্তত ছয় মাস আগে থেকেই। কংগ্রেসের নেতারা তৃনমূল স্তরে গুজরাতে দলের অবস্থা কী তা মাপতে গত কয়েক মাস ধরে সেখানে যাচ্ছেন। থাকছেন, আবার ফিরে চলে আসছেন। নেতাদের নির্দিষ্ট জায়গার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী তাঁরা কাজ করছেন তাঁরা।
নিঃশব্দ প্রচার
কেউ ডোর টু ডোর প্রচার করছেন, কেউবা আবার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। এলাকার হাল হকিকত মানুষের চাহিদা, না পাওয়া সবকিছু কথা বলতে বলতে যাচ্ছেন। আর এভাবেই তাঁরা বলা চলে একপ্রকার নিঃশব্দ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
যেমন সঞ্জয় পাটওয়া, তিনি গতকাল নমিনেশন জমা দেওয়ার অফিসের সামনে একদম সাধারণ ভাবে পাঞ্জাবি পড়ে বসে রয়েছেন। কোনও প্রচার নেই, সামনেই ভোট। এভাবে একজন প্রার্থী মনোনয়ন দিচ্ছেন? ব্যপারটা কী? জানা গেল, এটা তাঁর প্রচারের শেষ ধাপ। প্রচার আজ শুরু হয়নি। জল মাপা শুরু হয়েছে মাস ছয়েক আগে। সেখানেই কার্যত রয়েছেন তিনি। মাঝে মাঝে বাড়ি যাচ্ছেন, আবার ফিরে আসছেন সুরাতে। কথা বলছেন মানুষের সঙ্গে। বোজগার চেষ্টা করছেন হাওয়া। তা এদিক ওদিক গেলে হাওয়াকে নিজের দিকে ঘোরাতে কী করতে হবে তা বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর জন্য কাজ করছেন অনেক দিন ধরে। এটাই কংগ্রেসের এবারের গুজরাত নির্বাচনের জন্য ভাবনা।
থেকে কাজ করছে কংগ্রেস
জানা যাচ্ছে বিদায়ী বিধায়ক হন আর কিংবা প্রাক্তন মন্ত্রী। কংগ্রেসের এই ব্যক্তিত্বরা আসছেন রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ থেকে। আসছেন ছত্তিশগড় থেকেও। তারপর তাঁরা থাকছেন গুজরাতে। মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝে নিচ্ছেন চাওয়া পাওয়া। কাজেই এখন যে তাঁরা চুপচাপ সেটা বিপক্ষ ভাবলে ভুল করবে। কাজ চলছে তলায় তলায়।
বুথ স্তরে কাজ
কাজ হচ্ছে বুথ স্তরে। কোথায় কত ভোটার রয়েছে, তাঁরা কী ভাবছে। সব কথা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে। নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসের কাণ্ড বুঝতে পেরেছেন। তিনি তাঁর জনসভায় ওই নিঃশব্দ প্রচারের কথা উল্লেখ করেছেন। কংগ্রেসের রামলাল মীনা যেমন বারদোলি এবং সুরাতে দলের প্রচার করছেন। তিনি প্রতাপগড়ের দায়িত্বে আছেন। এই এলাকায় তিনি পয়লা ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবেন। নির্বাচন শেষ হলে তিনি ফিরে যাবেন।
বুথ স্তরে কাজের জন্য দল ২৫ জন করে কর্মীকে রেখেছে। তাঁরা তা নিয়ে কাজ করছেন।
এবিসি পলিসি
ভোট শেয়ার তাঁদের কি হতে পারে তা বঝার জন্য তাঁরা এবিস পলিসি নিয়েছেন। ভোট শেয়ারের সম্ভাবনার নিরিখে এই এবিসি পলিসি তাঁরা নিয়েছে। এ হল এমন জায়গা যেখানে কংগ্রেস নিশ্চিত ভাবে জিতবে। বি হল সেই সব কেন্দ্র যেখানে দলের ৫০-৫০ সাম্ভাবনা আছে। আর সি দল সেই সব কেন্দ্র যেখানে তাঁরা বিজেপির থেকে অনেকটা পিছিয়ে।