হায়দরাবাদে দাঙ্গা, পুলিশের গুলিতে নিহত তিন
রাজেন্দ্রনগর থানা এলাকার কিষেণবাগের শিখচৌনিতে প্রথম সংঘর্ষ ছড়ায়। একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায় অপর সম্প্রদায়ের ধর্মীয় পতাকা এবং ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার পরই সকাল থেকে শুরু হয় দোকানপাট পোড়ানো, ভাঙচুর। প্রথমে পুলিশ এসে লাঠি চালায়। তাতেও কাজ না হওয়ায় গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন মারা যায়। তাদের দেহ শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছে আরও ন'জন।
সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার সি ভি আনন্দ এবং হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার অনুরাগ সরন জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী নামানো হয়েছে। এসেছে আধা সামরিকবাহিনী। গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিন দাঙ্গাপীড়িত এলাকা এবং চারমিনার চত্বরে সারাদিন কারফিউ বলবৎ রয়েছে। খোলেনি দোকানপাট, বাজার। কারা, কেন এই দাঙ্গা বাধাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন অন্ধ্রপ্রদেশে রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। অর্থাৎ দিল্লির ইউপিএ সরকারের নীতিগত দায় থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কয়েক বছর আগে ঠিক চারমিনার এলাকাতে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল। তখন নিহত হয়েছিল একজন। বেশ কিছুদিন ওই এলাকায় কারফিউ ছিল এবং আধা সামরিকবাহিনী টহল দিয়েছিল।
দাঙ্গার ইতিহাস অন্ধ্রপ্রদেশ বিশেষত হায়দরাবাদে নতুন কিছু নয়। এর আগেও নানা ছুতোয় বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী, হায়দরাবাদ তেলেঙ্গানা এবং সীমান্ধ্র, দুই রাজ্যেরই রাজধানী থাকবে আগামী দশ বছর। অথচ একে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদাও দেওয়া হয়নি। ফলে কোন রাজ্য সরকার এখানে পুলিশ-প্রশাসন দেখভাল করবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আর এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে তা চিন্তার বৈকি!