বিরোধীদের বিরোধিতাই সার, সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে সাতটি বিল পাস করাল মোদী সরকার
টার্গেট পূরণ করে ছাড়লেন মোদী। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে লোকসভার বাদল অধিবেশনে পর পর সাতটি বিল পাস করিেয় ছাড়ল এনডিএ সরকার। সংখ্যায় জোর নেই তাই বিরোধিতা ধোপে টিকল না বিরোধীদের।
টার্গেট পূরণ করে ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে লোকসভার বাদল অধিবেশনে পর পর সাতটি বিল পাস করিয়ে ছাড়ল এনডিএ সরকার। সংখ্যায় জোর নেই তাই বিরোধিতা ধোপে টিকল না বিরোধীদের। তাঁরা এই সাতটি বিলই সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হল না। ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন বিরোধীরা।
প্রথম বিল
তিন তালাক সংশোধনী বিল প্রথম দফাতেই পেশ করেছিলেন মোদী সরকার। টার্গেট ছিল যেভাবেই হোক এই বিল পাস করাতে হবে। কারণ লোকসভা ভোটে বিজেপির ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তিন তালাক বিল পাস করানো হবে। তাই মোদী-টু সরকার প্রথম সংসদ অধিবেশনেই তিন তালাক বিল পাস করাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু বিরোধীরা প্রথম থেকেই বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁরা দাবি জানিয়েছিলেন বিলটি পুরোপুরি আইনে পরিণত করার আগে কিছু বিষয়ে পুণর্বিবেচনা করা জরুরি। সেকারণে বিলটি তারা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর আবেদন জানিয়েছে।
দ্বিতীয় বিল
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিলটি হল মুসলিম মহিলারদের বিবাহের অধিকার রক্ষা বিল ২০১৯। মোদী সরকার শপথ গ্রহণের পরেই বিলটি লোক সভায় পেশ করেছিলেন। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে এই বিল পাস করা জরুরি বলে জানিয়েছে মোদী সরকার। এক্ষেত্রেও বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে।
তৃতীয় বিল
তৃতীয়টি তথ্যের অধিকার আইন সংশোধনী বিল ২০১৯। সোমবারই লোকসভায় পাস হয়ে যায় বিলটি। এই বিলের সংশোধনীর জোরে ইনফরমেশন কমিশনারের বেতন এবং কার্যকালের মেয়াদ নিয়ন্ত্রণের অধিকার সরকারের হাতে চলে এসেছে। বিরোধীরা এই নিয়ে সরব হলেও আদতে সেটা ধোপে টেকেনি।
চতুর্থ বিল
চতুর্থটি হল ডিএনএ টেকনোলজি রেগুলেশন বিল ২০১৯। এই বিলের সুবাদে কোনও একজন ব্যক্তিকে জঙ্গি বলে ঘোষণা করতে পারবে সরকার। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস ভোটাভুটিতে বিরোধিতা করে। বিরোধীতা খারিজ করে দিয়ে অমিত শাহ জানান ইউপিএ সরকার যদি সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করতে পারে তাহলে এনডিএ সরকারও এই সংশোধনী আনতে পারে।
পঞ্চম বিল
পঞ্চমটি অন্ত রাজ্য নদীর জল সমস্যা সংশোধনী বিল ২০১৯। কোনও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই মোদী সরকার এই সংশোধনী করছেন বলে বিরোধীরা সরব হয়েছিলেন। অধীর চৌধুরী, বি মহতাব, টি আর রাজু সহ একাধিক বিরোধী নেতা এর বিরোধিতা করেছিলেন।
ষষ্ঠ বিল
ষষ্ঠটি বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধক সংশোধনী আইন ২০১৯। ২৪ জুলাই বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল। শহুরে মাওবাদীদের ধরতে এই আইন জরুরি বলে বুধবার দাবি করেন অমিত শাহ। নাশকতা কার্যকলাপ রুখতে এই আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে সংসদে সরব হয়েছিলে অমিত শাহ। সেখানেও বিরোধীদের বিরোধিতা টেকেনি।
সপ্তম বিল
সপ্তমটি হল কোড ওয়েজ বিল ২০১৯। ন্য়ূনতম বেতন সহ একাধিক বিষয়ে এই বিলে সংশোধনী আনা হয়েছিল। সেটিও অনায়াসে পাস হয়ে গিয়েছে লোকসভায়।