জাতি ভিত্তিক জনগণনার জেরে বিজেপি-জেডিইউ জোটে কোপ? ভাগ্য নির্ধারণ সোমবারের মোদী বৈঠকেই
জাতি ভিত্তিক জনগণনার জেরে বিজেপি-জেডিইউ জোটে কোপ? ভাগ্য নির্ধারণ সোমবারের মোদী বৈঠকেই
ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সরকার গঠন হলে জাতি ভিত্তিক জনগণনা করা হবে। কিছুকাল এই বিষয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য না করলেও সম্প্রতি এই ইস্যুতে ফের মোদী সরকারের উপর চাপ তৈরি করতে শুরু করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমনকী সরাসরি না বললেও এই ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলেছেন একদা মোদীর 'প্রিয় পাত্র’ নীতীশ। এবার সেই নীতীশই বসতে চলেছেন মোদী বৈঠকে।
জাতি ভিত্তিক জনগণনা নিয়ে কোন পথে কেন্দ্র
প্রসঙ্গত উল্লেথ্য, ২০১১ সালের জনগণনার পর পৃথক ভাবে জাতিগত জনগণনা হলেও সেই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করেনি কেন্দ্র সরকার। এমনকী আর্থ সামাজিক কোনও পৃথক জণগণনা করা হবে না বলেও সম্প্রতি সংসদের বাদল অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যা নিয়ে চাপানৌতর চলছেই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, বিহারের বেশ কিছু বিজেপি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জাতি ভিত্তিক জনগণনার জোরদার দাবি তোলা হয়েছে। এমনকী বিজেপি বাদে বিহারের প্রায় সব ছোট-বড় দলই ইস্যুতে গলা মিলিয়েছে।
ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে নীতীশ-মোদীর মধ্যে
আর এই ইস্যুতেই ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে নীতীশ-মোদীর মধ্যেও। এদিকে কয়েকদিন আগেই নীতীশ অভিযোগ করেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন, তবে এখনও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কোনও জবাব আসেনি। যদিও বৃহস্পতিবার নীতীশ কুমার আবার নিজেই জানান আগামী সোমবার তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা। অন্যদিকে নীতীশ কুমারের দাবির সঙ্গে ইতিমধ্যেই সহমত পোষণ করেছে বিহারের বিরোধী দল লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি। সোমবারের মোদী বৈঠকে নীতীশের সঙ্গে লালু পুত্র তেজস্বীও থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
নীতীশকে সময় না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ তেজস্বীর
এমনকী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ কুমার বারবার দেখা করতে চাইলেও মোদী সময় না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তেজস্বীও। তাঁর দাবি কেন্দ্রের এই আচরণ আদপে বিহারের জন্য বড় অসম্মানের সমান। এদিকে জাতি ভিত্তিক জনগণনার ইস্যুতে আরজেডি-জেডিইউ দ্বৈরথের বরফ গলায় বর্তমানে খানিকটা হলেও চাপে পড়েছে বিজেপি। এদিকে চব্বিশের ভোটের আগেই এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন একের পর এক বড় আঞ্চলিক শক্তি।
চব্বিশের আগে চাপে জোট ছিন্ন বিজেপি
ইতিমধ্যেই বিজেপির হাত ছেড়েছে তেলুগু দেশম পার্টি, বসেনা, শিরোমণি আকালি দলের মতো বড় আঞ্চলিক দলগুলি। অন্যদিকে রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ান ও তাঁর কাকার মধ্যে তিক্ততার জেরে লোকজনশক্তি পার্টি এখন দ্বিধাবিভক্ত। যদিও চিরাগ যে আর বিজেপির সঙ্গে নেই, সেই ইঙ্গিত তিনি আগেই দিয়ে রেখেছেন। প্রয়োজনে তিনি আরজেডির সঙ্গে জোট করতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সোমবারের বৈঠকে মোদী ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেন সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।