২০২৪-এ সম্ভাব্য চার শক্তির লড়াই! নিশ্চিত ক্ষমতা দখলের পথে বিজেপির
২০২১-এ বাংলায় বিজেপিকে (BJP) পর্যুদস্ত করার পরেই তৃণমূল (Trinamool Congress) দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঝাঁপিয়েছে সংগঠন বাড়াতে। কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তারাই হতে চায় প্রধান বিরোধী। বিভিন্ন রা
২০২১-এ বাংলায় বিজেপিকে (BJP) পর্যুদস্ত করার পরেই তৃণমূল (Trinamool Congress) দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঝাঁপিয়েছে সংগঠন বাড়াতে। কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তারাই হতে চায় প্রধান বিরোধী। বিভিন্ন রাজ্যে আছে আরও প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে যদি বিজেপির বিরুদ্ধে ত্রিমুখী লড়াই হয়, তাহলে ২০২৪-এ বিজেপির ক্ষমতা দখল নিশ্চিত, যদিও এখনও আড়াই বছর সময় রয়েছে।
প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগেই এগোচ্ছে তৃণমূল
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরেই প্রশান্ত কিশোর এবং তার সংস্থা আইপ্যাককে এই রাজ্যের জন্য দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। ২০২১-এর নিরিখে তারা সফল। রাজ্য জয়ের পরেই সেই প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য নিয়েই অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, গোয়ায় ঝাঁপিয়েছে তারা। এইসব রাজ্যে কংগ্রেস ভেঙে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে তারা। এছাড়াও হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহারের বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদের যোগদান করাচ্ছে তারা। লক্ষ্য একটাই ২০২৪-এর লক্ষ্যে শক্তি বাড়ানো, সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন ডেরেক ও'ব্রায়েনরা। আর প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রশ্নে উদাহরণ টেনেছেন চন্দ্রশেখর, দেবেগৌড়া, গুজরাল কিংবা ১৩ দিনের বাজপেয়ী সরকারের।
ছাড়বার পাত্র নয় আপও
সংসদের সম্মিলিত বিরোধীদের কর্মসূচি ঠিক করতে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠক এড়াচ্ছে আপও। আর করবে নাই বা কেন। উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এমন কী গোয়াতেই তাদের শক্তি এই মুহূর্তে অন্তত তৃণমূলের থেকে বেশি। নির্দিষ্টি করে বলতে গেলে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশে, হিমাচল প্রদেশে তাদের ভাল সংগঠন রয়েছে। ওইসব রাজ্যে ভোটে লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে।
রাজ্যে রাজ্যে আছে একমাত্র কংগ্রেসই
এই মুহূর্তে বিজেপির পরে যদি রাজ্য রাজ্যে কোনও দলের সংগঠন থেকে থাকে, তাহলে তা আছে কংগ্রেসের। ভোট বিশেষজ্ঞরা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আসনের নিরিখে শূন্য হলেও সারা দেশে এখনও ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে অন্তত ২০০ আসনে কংগ্রেস ভাল জায়গায় রয়েছে। এছাড়াও মোট বিরোধী ভোটে ২০ শতাংশও তাদের দখলে। সেখানে নেতৃত্বে রাহুল না অন্য কেউ সমর্থকরা তা না দেখেই ভোট দেন। এখানে শক্তির নিরিখে বামেদের বাদ দেওয়া হয়েছে, কেননা তৃণমূলের ভাষায় ৬০ থেকে ৬-এ নেমেছে তারা। যদিও রাজনীতি সবসময়ই সম্ভাবনার শিল্প।
তৃণমূলের লক্ষ্যে লাভ বিজেপিরই
রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসকে টেকওভার করছে তৃণমূল। রাজ্যে রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে কংগ্রেস। সেই সব রাজ্যের নেতাদের বেছে নিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। মোদীকে সরানো, তাদের অ্যাজেন্ডা নয়, অ্যাজেন্ডা হল কংগ্রেসকে সরিয়ে ১ নম্বর বিরোধী হওয়া। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল এই মুহূর্তে ইডি-সিবিআই-ও সক্রিয় নেই। অন্যদিকে একটা সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে দেশ থেকে শিল্পপতি তাড়ানোর অভিযোগ তোলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সেই নরেন্দ্র মোদীকেই। এতে আর যাই হোক বাংলার বিজেপির ক্ষতি হলেও লাভ সর্বভারতীয় বিজেপিরই।