কংগ্রেসের শীর্ষ পদে থেকেও দলবদলু, এবার বিজেপির টিকিট চাইছেন অল্পেশ-হার্দিকরা
কংগ্রেসের শীর্ষ পদে থেকেও দলবদলু, এবার বিজেপির টিকিট চাইছেন অল্পেশ-হার্দিকরা
গতবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে তিন মহারথী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। মূলত তাঁদের লড়াইয়েই বিজেপি শিবিরে শুরু হয়েছিল হারের আতঙ্ক। একটুর জন্য সেবার জয় হাসিল করতে পারেনি কংগ্রেস। কিন্তু এবার কংগ্রেসের সেই শক্তি কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। অল্পেশ ঠাকুর, হার্দিক প্যাটেলরা এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির টিকিটে লড়তে চাইছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
প্রাক্তন কংগ্রেসিরা বিজেপির টিকিট লড়াইয়ে
কংগ্রেসের শীর্ষ পদে থেকেও তাঁরা আজ দলবদলু। কংগ্রেসের সহযোগী অল্পেশ ঠাকুর বিধায়ক হয়েছিলেন গতবার। আর হার্দিক ছিলেন গুজরাত কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি। তবু তাঁরা একে একে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিজেপিতে ভিড়ে গিয়েছেন। যে জন্য তাঁদের আন্দোলন তা শিকেয় তুলে শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এবার তাঁরা বিজেপির টিকিট লড়াইয়ের স্বপ্নে বিভোর।
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে নির্বাচনে হার্দিক-অল্পেশ
হার্দিক প্যাটেল পতিদার সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে খ্যাতির শিখরে পৌঁছেছিলেন। তারপর তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপিক বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এখন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ভিরামগাম আসন থকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। ২৯ বছর বয়সী নেতা এবারই প্রথম নির্বাচনে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন বিজেপির টিকিটে। অল্পেশ ঠাকুরও প্রার্থী হতে পারেন।
বিজেপির প্রার্থী তালিকায় কংগ্রেস-ত্যাগীদের উপস্থিতি
হার্দিকের পাশাপাশি অল্পেশ ঠাকুরও বর্ণের সংরক্ষণের দাবিতে সমান্তরাল আন্দোলন করে প্রচারে এসেছিলেন। তিনিও কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন কিছুদিন। এখন তিনিও বিজেপিকে টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। এর ফলে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় কংগ্রেস-ত্যাগীদের উপস্থিতি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনের পর ৩৫ জনেরও বেশি কংগ্রেস সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এখন তাঁরা বিজেপিকে চাপ দিচ্ছেন প্রার্থী করার জন্য।
বিজেপির যে সব প্রার্থীদের শিকড় রয়েছে কংগ্রেসে
বিজেপিতে কার্যত প্রাক্তন কংগ্রেসিদের রমরমা এখন। তাঁদরে অনেকেই পদ্ম প্রতীকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন, অনেকে আবার পদ্ম প্রতীকে লড়ে বিধায়ক হওয়ার দৌড়ে শামিল হতে চাইছেন। উদাহারণস্বরূপ বলা যয়া, কুনভারজি বাভালিয়া পাঁচবার বিধায়ক ও লোকসবা সাংসদ হয়েছেন। সোমাভাই কলি প্যাটেল সুরেন্দ্রনগর থেক লোকসভার সাংসদ এবং লিম্বডি বিধানসভা থেকে বিধায়ক হয়েছেন। ব্রিজেশ মের্জা এবার মরবি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁদের সবারই শিকড় রয়েছে কংগ্রেসে।
বিপক্ষকে ভেঙে রাজ্যে শাসন কায়েম করছে বিজেপি
বিজেপি এভাবেই বিপক্ষকে ভেঙে রাজ্যে নিজেদের শাসন কায়েম করতে চাইছেন। বিজেপি প্রচুর প্রাক্তন কংগ্রেসিকে টিকিটও দিয়েছেন। কংগ্রেসের এমন অনেক সদস্য রয়েছেন যাঁরা আগে বিধায়ক হননি, তাঁদেরকে সুযোগ দিচ্ছে বিজেপি। বিজেপি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি বা উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটলকে টিকিট না দিয়ে নতুনদের টিকিট দিতে চাইছে।