নেতৃত্ব বদলেই খেলা ঘুরিয়ে দিল বিজেপি! সেখানেও ভোট-বিভাজনের অঙ্ক বড় ফ্যাক্টর
নেতৃত্ব বদলেই খেলা ঘুরিয়ে দিল বিজেপি! সেখানেও ভোট-বিভাজনের অঙ্ক বড় ফ্যাক্টর
মোদী-ম্যাজিক শুধু বললে হবে না, গুজরাতে বিপুল জয়ের পিছনে রয়েছে চাণক্যের কৌশল। শুধু ম্যাজিকে এত বড় জয় হয় না, হয়ওনি। সুচারুভাবে অঙ্ক কষে কংগ্রেসকে এই লড়াইয়ে অস্তিত্বহীন করে দিল বিজেপি। আর এই খেলা শুরু হয়েছিল অন্তত দেড় বছর আগে। সেই খেলার শুরুতেই মাস্টারস্ট্রোক ছিল নেতৃত্ব বদল!
আগেও নেতৃত্ব বদলে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। গুজরাতেও তাই নেতৃত্ব বদল করে দেখা দরকার, এই আঙ্গিকেই মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ ভাবনা-চিন্তা করে, অঙ্ক কষে বিজয় রূপানিকে সরিয়ে ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে বসানো হয়েছিল গুজরাতের কুর্সিতে। সেই মাস্টারস্ট্রোকই এবার নির্বাচনে বিজেপিকে বিশাল মাইলেজ দিল।
মাত্র ১ বছর ২ মাস আগে বিজয় রূপানিকে সরানো হয় গুজরাতের কুর্সি থেকে। বিজয় রূাপানির নেতৃত্বে এই টার্মে কিন্তু বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি বুঝতে পেরেছিল গতানুগতিক পদ্ধতিতে চললে সমূহ বিপদ। প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়ায় তাদেরও চলে যাওয়ার পাকা হয়ে যাবে। এখান থেকে উঠে আসতে গেলে বিজেপিকে একটা পরিবর্তন আনতে হবে।
আর সেই পরিবর্তনটাই হল গুজরাতের শীর্ষ পদে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মুখকেই পরিবর্তন করে বিজেপি মাস্টারস্ট্রোক দিতে তাই বিলম্ব করেনি। আর বিজয় রূপানিকে সরিয়েই গেরুয়া শিবির ক্ষান্ত থাকেনি। তাঁরা চেয়ছিল এমন একজনকে আনতে, যাঁর অন্তর্ভুক্তি বিজেপিকে একটা মাইলেজ দিতে পারে। আর সে কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছিল প্যাটেল সম্প্রদায়কে।
প্যাটেল সম্প্রদায় থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল বিজেপির নেতা। ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে বসিয়ে পুরো খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। যেখানে বিজেপির হারের মুখ দাঁড়িয়েছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিপুল জয়ের বীজ পোতা হয়ে গিয়েছিল তখনই। বিজয় রূপানির পরিবর্তে ভূপেন্দ্র প্যাটেল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই বিজেপি ফের আলো দেখতে পায় গুজরাতে।
গুজরাতে পতিদার আন্দোলন চরমে উঠেছিল আগে। তা দমন করে প্যাটলদের বাগে আনা মুখের কথা ছিল না। বিজেপি কিন্তু তা ধীরে ধীরে করেছে। আর অবশেষে প্যাটেল সম্প্রদায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিক্ষুব্ধদের ভাবাতে সফল হয়েছে, যে বিজেপিই তাদের দাবি পূরণ করতে পারে। আর তারপরই হার্দিক প্যাটেলের মতো নেতা, যিনি গুজরাতে পতিদার আন্দোলনের মুখ ছিলেন, কংগ্রেসের শীর্ষ পদে ছিলেন, তাঁকে নিজের দলে টেনে নিয়ে প্রায় পুরো গোষ্ঠীকে কব্জা করে ফেলে বিজেপি।
একটা সিদ্ধান্তই বিজেপিকে মাইলেজ দেয় গুজরাতে। তারপর তো ভোট বিভাজনের রাজনীতি আছেই। আম আদমি পার্টির প্রবেশকেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের একেবারে ধরাশায়ী করে দিতে পেরেছে বিজেপি। এক বছর আগে বিজেপি ব্যাকফুটে চলে গেলেও কতিপয় সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা ফের দারুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। আর ঘুরে দাঁড়িয়ে একেবারে ইতিহাস গড়েছে বিজেপি। গুজরাতে কংগ্রেসের ৩৭ বছরের রেকর্ডকেও ভেঙে দিয়েছে।
Gujarat election Result 2022: ভারত জোড়ো যাত্রায় বেশি মন, রাহুলের সিদ্ধান্তই কি কাল হল গুজরাতে