গান্ধীজির দেশভক্তিকে কটাক্ষ, অনন্ত হেগড়েকে নিঃশর্ত চাইতে বলল বিজেপি
গান্ধীজিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাংসদ অনন্ত কুমার হেগড়েকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলল বিজেপি। গান্ধীজির স্বাধীনতা সংগ্রামকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ অনন্ত হেগড়ে।
গান্ধীজিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাংসদ অনন্ত কুমার হেগড়েকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলল বিজেপি। গান্ধীজির স্বাধীনতা সংগ্রামকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ অনন্ত হেগড়ে। তারপরেই এই নিয়ে বিজেপির সমালোচনা শুরু করে কংগ্রেস। এই নিয়ে সমালোচনা ক্রমশ তীব্রতর হতে শুরু করে। তারপরেই বিজেপির এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
হেগড়ের বিতর্কিত মন্তব্য
ছুঁচো গেলার অবস্থা হয়েছে বিজেপির। একের পর এক সাংসদদের বিতর্কিত মন্তব্যে জেরবার অবস্থা। অনুরাগ ঠাকুর, যোগী আদিত্যনাথদের তালিকায় এবার সামিল হয়েছেন সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়েও। গান্ধীতির স্বাধীনতা সংগ্রামকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। বেঙ্গালুুরুতে একটি সভায় তিনি মন্তব্য করেছিলেন ব্রিটিশদের সমর্থনেই এগিয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রাম। কাজেই স্বাধীনতা সংগ্রামের নামে নাটক ছাড়া কিছুই করেননি গান্ধীজি। তাঁর সত্যাগ্রহের জন্য ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে যায়নি। ব্রিটিশরা ভারত ছেড়েছিল বিরক্ত হয়ে। এই ধরনের নেতাদের যখন মহাত্মা বলা হয় তখন রক্ত গরম হয়ে ওঠে। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন অনন্ত হেগড়ে।
ক্ষমা চাইতে বলল বিজেপি
অনন্ত হেগড়ের এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সামনেই আবার দিল্লি বিধানসভা ভোট। একের পর এক বিজেপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্যে উদ্বেগ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। এর আগেও একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন অনন্ত হেগড়ে। কিন্তু গান্ধীজিকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য এই প্রথম। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সবার আগে হেগড়েকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলল বিজেপি।
বরাবরই বিজেপির কাঁটা হেগড়ে
প্রথম থেকেই হেগড়েকে নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। সেকারণে প্রথমবার মন্ত্রিসভায় তাঁকে স্থান গিলেও, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আর মোদী হেগড়েকে মন্ত্রিসভায় রাখার ঝুঁকি নিতে পারেননি। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলেছিল। হেগড়ের গান্ধীজিকে নিয়ে করা এই মন্তব্যকে তাঁর ব্যক্তিগত বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পাল।