বিহারে নিষিদ্ধ মদ : নেশার অভাবে অসুস্থ ৭৫০, নেশার আশায় কেউ খেল সাবান, কেউবা পেনকিলার!
পাটনা, ৭ এপ্রিল : মদ নিষিদ্ধ হওয়ার জেরে নেশা হারিয়েছে বিহার থেকে। তরল নেশায় গলা না ভেজাতে পেরে "অ্যালকোহল উইথড্রয়াল সিনড্রোম"-এর শিকার শতাধিক মদে আসক্ত বিহারবাসী।
নেশা না পেয়ে রীতিমতো ভয়াবহ অবস্থা বিহারের মাতাল সম্প্রদায়ের। নেশার অভাবে কেউ পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন না, কেউ যন্ত্রণায় ছটফট করছেন, কেউ আবার নেশার আশায় গাদা গাদা সাবান গিলছেন।
যারা নেশার অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এমন কমপক্ষে ৭৪৯ জন মানুষকে বুধবার পর্যন্চ রাজ্যের ৩৮টি 'ডি অ্যাডিকশন সেন্টার' (যেখানে মানুষের নেশার হাত থেকে মুক্তি দিতে চিকিৎসা করানো হয়।) আনা হয়েছে। বিহারের রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ৩০ বছরের এক ব্যক্তি যিনি, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত ওই ব্যক্তি দৈনিক ৬০০-১২০০ মিলিলিটার মদ্যপান করতেন। এর পর থেকে দেশি মদ রাজ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা শুরু হয় তার। বাড়ির লোকজন আত্মীয়স্বজনদের চিনতে পারছিলেন না তিনি, হঠাৎ হঠাৎ চিৎকার করছিলেন বলেও পরিবারের তরফে জানানো হয়।
শুধু তাই নয়, বেট্টিয়াহ গ্রামে মদের নেশা না পেয়ে মরিয়া হয়ে নেশার জন্য সাবানের বার খেতে শুরু করে। 'ডি অ্যাডিকশন সেন্টার'-এর তরফে জানানো হয়, অনেকে নেশা না পেয়ে, প্রচুর পরিমাণে কাগজ ও পেনকিলার ওষুধ খাচ্ছিল।
এক যুবক এতটাই হিংস্র হয়ে উঠেছে নেশার রসদ না পেয়ে যে তাকে বাড়িতে রাখা যাচ্ছে না। যা হাতের সামনে পাচ্ছে তাই খেয়ে ফেলছে। টানা দুদিন গুচ্ছ গুচ্ছ লঙ্কা খেয়েছে সে। বাধা দিতে গেলে বাড়ির লোককেই মারতে ছুটছে।
তবে চিকিৎসকদের মতে চিন্তার কোনও কারণ নেই, যারা প্রচুর পরিমানে মদ্যপান করতেন তাদের হঠাৎ করে মদ পেটে পরা বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিহারে মদ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা হওয়াতেই এই পরিস্থিতি যে হবে তা জানা কথা ছিল, আর সেই কারণে হাসপাতালগুলি প্রস্তুতও হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকের একাংশ।