বর্ধমানে বসেই শেখ হাসিনাকে খুনের ছক কষছিল জেএমবি?
এনআইএর সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ধমান কাণ্ডের পর সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রের হদিশ পেয়েছে এনআইএ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুন করার ছক কষা হচ্ছিল। শেখ হাসিনার পাশাপাশি খালেদা জিয়াকেও হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁদছিল জামাত-উল-মুজাহিদিন।
সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ঢাকাকে জানাবে দিল্লি। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনওরকম সরকারি মন্তব্য করেনি বাংলাদেশ। তবে রয়টার্সের খবর, শুধুমাত্র ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। যদিও এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করেননি।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি খালেদা জিয়াকেও হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁদছিল জামাত-উল-মুজাহিদিন
২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তথা এনআইএ। একের পর এক জট খুলতে শুরু করে তারা। এরপরই এনআইএ-র তরফে জানানো হয় বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে যে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয় তারা আদতে বাংলাদেশী সন্ত্রাসবাদী। এবং পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়ে বড় সড় নাশকতার ছক কষছিল। উদ্দেশ্য ছিল দেশের রাজনৈতির নেতাদের আঘাত করা এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো ধ্বংস করা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি উচ্চ আধিকারিক একথা জানিয়েছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল জানিয়েছেল, ভারতের মাটি থেকে বসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ছক কষার মূল কারণটাই ছিল ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে দূরত্ব বজায় করা। ভারতে পরিকল্পনা তৈরি করে শেখ হাসিনার উপর আক্রমণ করা হত তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশ তা ভাল চোখে দেখত না, এবং হামলার যাবতীয় দায় এসে পড়ত ভারতের উপর। যেই কারণেই এই কুটনৈতিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বলেই মনে করছেন দোভাল।