For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

২৬/‌‌১১–এর শহিদ হেমন্ত কারকারের মেয়ে বাবার আত্মজীবনী প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানালেন

২৬/‌‌১১–এর শহিদ হেমন্ত কারকারের মেয়ে বাবার আত্মজীবনী প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানালেন

Google Oneindia Bengali News

অভিশপ্ত ২৬/‌‌১১। এইদিনেই মুম্বইবাসীর জীবনে নেমে এসেছিল সেই চরম বিপদ। ১০ জন লস্কর জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল বাণিজ্যনগরীতে। কয়েক ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা শহর, শুধু শোনা যাচ্ছিল গুলি আর বিস্ফোণের আওয়াজ। জঙ্গি দমন করতে গিয়েই প্রাণ হারান মহারাষ্ট্রের জঙ্গি–দমন শাখার প্রধান হেমন্ত কারকারে।

২৬/‌‌১১–এর শহিদ হেমন্ত কারকারের মেয়ে বাবার আত্মজীবনী প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানালেন

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর

মহারাষ্ট্র জঙ্গি–দমন শাখার (‌এটিএস)‌ হেমন্ত কারকারে প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেতে বসেছিলেন। ৯টা ৪৫ নাগাদ তাঁকে ফোন করে জানান ওহয় ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসে (‌সিএসটি)‌ জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেটাই ছিল হামলাকারীদের প্রথম হামলা। হেমন্ত কারকারে সঙ্গ সঙ্গে টিভি খুলে দেখেন ভারতের মাটিতে হওয়া সবচেয়ে বিপদজ্জনক জঙ্গি হামলার দৃশ্য। তিনি সময় নষ্ট না করে গাড়ির চালক এবং দেহরক্ষীকে নিয়ে বেড়িয়ে যান সিএসটির উদ্দেশ্যে। তিনি বিস্ফোরণ রোধকারী জ্যাকেট এবং হেলমেট পরে সিএসটির এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। কারকারের কাছে এরপর খবর আসে যে জঙ্গিরা কামা ও আলব্লেস হাসপাতালে হামলার জন্য ঢুকেছে এবং তাদের পরবর্তী নিশানা আজাদ ময়দান পুলিশ স্টেশন। কারকারের সঙ্গে ছিলেন পুলিশের সহ–কমিশনার অশোক কামটে এবং ইনস্পেক্টর বিজয় সালাসকর। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তাঁরা দেখেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও রঙ্গ ভবনের কাছের রাস্তাটি খুব ছোট। তারই সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজন দক্ষ পুলিশ আধিকারিকের।

হেমন্ত কারকারের আত্মজীবনী প্রকাশ

সেই ভয়াবহ রাতের ১১ বছর পর কারকারের মেয়ে তাঁর বাবাকে সত্যিকারের শ্রদ্ধা জানালেন হেমন্ত কারকারের আত্মজীবনী প্রকাশ করে। যার নাম '‌হেমন্ত কারকারে:‌‌ অ্যা ডটার’‌স মেমোর’‌। কারকারের মেয়ে জানিয়েছেন, খুব কঠিন ছিল এই আত্মজীবনী লেখাটা, কিন্তু তিনি এটা ভেবে সন্তুষ্ট যে লেখাটা তিনি শেষ করতে পেরেছেন। নভারে এক সাক্ষাতকারে বলেন, '‌এটা আমার কাছে খুবই কঠিন ব্যাপার ছিল কারণ প্রথমত আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে কি লিখব। ২৬ নভেম্বর কি হয়েছিল। তারপর আমি ভাবলাম আমি আমার বাবার জীবনে কি ঘটেছে সেটা তো জানি, সেটা লিখতে পারব। তাই আমার বইয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠল আমার বাবার জীবন যাত্রা। তিনি নিজেকে কীভাবে পরিণত করেছিলেন, সেই বিষয়কে প্রধান করে সকলের জন্য ইতিবাচক ও অনুপ্রেরণা দেয় এমন গল্প লিখেছি।’‌ সোমবার হেমন্ত কারকারের আত্মজীবনী ক্রসওয়ার্ড বুক স্টোর থেকে প্রকাশ করা হয়।

৩৮ বছরের নভারে ২০০৭ সালে বিয়ে করে বস্টনে তাঁর স্বামীর সঙ্গে চলে যান। নভারের দু’‌টি মেয়ে রয়েছে। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ভারতে চলে আসেন। সেই সময়ই নভারে তাঁর বাবার ডায়েরি খুঁজে পান, যা কারকারে তরুণ বয়স থেকে লিখতে শুরু করেছিলেন। নভারের বইয়ের জন্য সেই ডায়েরিটাই প্রধান গল্পকার হয়ে যায়।

বাবার সঙ্গে কাটানো নভারের শেষ দিন

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের চারমাস আগেই অর্থাৎ জুলাইতে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে বস্টনে গিয়েছিলেন হেমন্ত কারকারে। নভারে বলেন, '‌২০০৮ সালের জুলাই মাসে বাবা বস্টনে আসেন। ১৫দিনের জন্য এসেছিলেন এবং ওই দিনগুলিই ছিল বাবার সঙ্গে কাটানো আমার শেষ সময় কাটানো। আমার এখনো মনে আছে বাবা ছুটি কাটাতে এসেছিলেন এবং সারাদিন তিনি আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা একসঙ্গে হাঁটতে বেড়োতাম, আমি, মা আর বাবা। আমরা নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখতেও গিয়েছিলাম। ওটাই ছিল বাবার প্রথম এবং শেষ বস্টনে আসা। আমি মাঝে মাঝেই ওই দিনগুলোর কথা মনে করি।’‌

English summary
ats head hemant karkares daughter tribute to his father
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X