দুই বোনকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আসারাম বাপু! মঙ্গলেই শাস্তি ঘোষণা করবে আদালত
সালটা ছিল ২০১৩। তথাকথিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর কুকীর্তির কথা সামনে আসতেই গর্জে উঠেছিল দেশ।
Asaram Bapu News: মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় আসারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করল গুজরাতের গান্ধীনগরের (Gandhinagar) নিম্ন আদালত। ২০১৩ সালের সুরাতে (Surat) দুই বোনকে ধর্ষণের (Rape) ঘটনায় আসারামকে (Asaram Bapu) আজ সোমবার দোষী সাব্যস্ত করল সেশন কোর্ট। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, এই মামলাতে আসারামের ছেলে নারায়ন সাঁই অন্যতম অভিযুক্ত। বলে রাখা প্রয়োজন, এই মামলাতে আসারামের স্ত্রী, মেয়ে এবং চার মহিলা শিষ্যাকেও অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়। যদিও আদালত সবাইকেই ( Asaram Bapu family) খালাস ঘোষণা করেছে। আর সেটাই স্বস্তির খবর।
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলাতে সাজা ঘোষণা
তবে ধর্মগুরু আসারাম বর্তমানে যোধপুর জেলে বন্দি। আগামীকাল মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলাতে সাজা ঘোষণা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই মামলার শুনানি ঘিরে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না হয় সেজন্যে সতর্ক সে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। আদালত থেকে শুরু করে সর্বত্র কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকছে বলে জানা যাচ্ছে।
ধর্ষণের অভিযোগ
নির্যাতিতা দুই বোন জানিয়েছে, যখন তাঁরা সুরতে আসারাম বাপুর আশ্রমে ছিলেন সেই সময় তাঁদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। বড় বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার দাবি অহমেদাবাদে আশ্রমে থাকাকালীন ধর্মগুরু তাঁদের একাধিকবার অশ্লীল কাজ করেছে। শুধু তাই নয়, আসারামের ছেলের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ করেন আরেক বোন। তাঁর দাবি ছিল, ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে একাধিকবার ধর্ষণ করে নারায়ণ।
যোধপুরের জেলে বন্দি আসারাম
যোধপুরের একটি জেলে বন্দি রয়েছেন আসারাম। ২০১৮ সালে, যোধপুরের একটি আদালত, আলাদা একটি যৌন কার্যকলাপের অভিযোগে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ শোনায়। ২০১৩ সালে যোধপুর আশ্রমেই ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসে। আর সেই মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হয় এই ধর্মগুরু। আর সেই মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন তিনি।
জামিন চান আসারাম
যদিও জেলে থাকাকালীন Asaram Bapu সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জামিনের আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, গত ১০ বছর ধরে জেলে বন্দি। ৮০ বছরের বেশি বইয়স হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যা আছে বলেও আদালতকে জানায় ওই ব্যক্তি। বিষয়টি যাতে সহানুভূতির সঙ্গে দেখে এবং জামিনের আবেদন শোনে সেই আবেদন করেছিলেন। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার আদালত কি নির্দেশ শোনায় সেদিকেই নজর সবার।