'অটলবিহারি বাজপেয়ী তো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথা বলতেন, তবে কি উনিও দেশদ্রোহী?'
বুধবার এনডিএ সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা বলেন, কেন্দ্রের উচিৎ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় বসা। তবে আজকাল তাদের সঙ্গে কথা বললেও গায়ে দেশদ্রোহীর তকমা লাগানো হচ্ছে।
নয়াদিল্লি, ১২ এপ্রিল : কাশ্মীর উপত্যকায় ক্রমশ বেড়ে ওঠা অশান্তির বাতাবরণ প্রশমিত করতে সময় নষ্ট না করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। বুধবার এনডিএ সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা বলেন, কেন্দ্রের উচিৎ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় বসা। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথা বললেও যেভাবে সাধারণ মানুষকে দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সিনহা।
সিনহা বলেন, "কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেই হবে। কিন্তু আজকাল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথাটুকু বললেও দেশদ্রোহী তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে কি অটলবিহারী বাজপেয়ী দেশদ্রোহী ছিলেন? কারণ তিনিই তো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন। সেক্ষেত্রে তাহলে লালকৃষ্ণ আদবানীও দেশদ্রোহী।"
বিরুদ্ধাচারণ করলেই তাকে দেশদ্রোহী তকমা দেওয়ার এই যে নয়া প্রথা শুরু করেছে এনডিএ সরকার তা মোটেই উচিত নয়। সরকারের সঙ্গে সহমত না হলেই তাকে আক্রমণ করতে হবে এই প্রবণতা আখেরে কেন্দ্রকে কোনও ফল দেবে না।
সিনহার কথায়, শান্তি একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই আনা সম্ভব। বিজেপি ও পিডেপিকে আলোচনায় কাশ্মীরের সমস্ত অংশীদারকেই যুক্ত করতে হবে।
কাশ্মীরের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সিনহা বলেন, কেউ নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দিতে যেতে রাজি নয়। আর তারই ফল কাশ্মীরের উপনির্বাচনে দেখা গিয়েছে। মাত্র ৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। গত ২৭ বছরে এত কম ভোট আগে কোনও নির্বাচনে হয়নি।