কৃষকদের জন্য পিপিই মডেলে ডিজিটাল প্রযুক্তিগত সহায়তা ও কিষাণ-ড্রোনের ঘোষণা বাজেটে
কৃষকদের জন্য পিপিই মডেলে ডিজিটাল প্রযুক্তিগত সহায়তা ও কিষাণ-ড্রোনের ঘোষণা বাজেটে
মঙ্গলবার ঘোষণা হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেট কৃষকদের ডিজিটাল এবং হাই-টেক পরিষেবা প্রদানের জন্য সরকারী-বেসরকারি অংশীদারিত্ব নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ পাশাপাশি কৃষি ও গ্রামীণ উদ্যোগের জন্য স্টার্টআপগুলিকে অর্থ প্রদানের জন্য একটি নতুন তহবিল ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
কী বলছেন অর্থমন্ত্রী?
সীতারামন জানিয়েছেন, নাবার্ডের অধীনে একটি কো-ইনভেস্টমেন্ট মডেলের মাধ্যমে মিশ্র মূলধন জোগাড়কে সহজ করা হবে৷ এটি কৃষি ও গ্রামীণ এন্টারপ্রাইজের জন্য স্টার্ট-আপগুলিকে অর্থা সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷ শৃঙ্খলের জন্য প্রাসঙ্গিক। ফসলের মূল্যায়ন, জমির রেকর্ডের ডিজিটালাইজেশন, কীটনাশক স্প্রে এবং শস্য পুষ্টির জন্য 'কিষাণ ড্রোন'-এর ব্যবহারের বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে এই বাজেটে৷
বাজেটে কোথায় কোথায় নজর?
মহামারীপিড়িত দেশের অর্থনৈতিক ও কৃষব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে সরকার বেশ কয়েকটি বিষয়ে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে, ২০২২-২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির জন্য অর্থ বাড়ানো হয়েছে৷ ২০২১-২২ এ এই প্রকল্পের জন্য ৬৫ হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল। এবার এই অর্থ বাড়িয়ে ৬৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে৷ পিএম কিষাণ প্রকল্পের অধীনে, সরকার যোগ্য সুবিধাভোগী কৃষক পরিবারগুলিকে প্রতি বছরে ৬০০০ টাকা নির্দিষ্ট মাস অন্তর তিনটি সমান কিস্তিতে (২০০০ টাক প্রতিবার) প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১ জানুয়ারী ২০২২এ পিএম কিষাণের ১০ তম কিস্তি দেওয়ার কথা বলেছেন৷ এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই সারা দেশে ১০.০৯ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০,৯৪৬ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে বলে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে।
কৃষি সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্পে বরাদ্দ কত?
অন্যদিকে মঙ্গলবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় ১৫৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ আগামী আর্থিক বছরে একইভাবে, মার্কেট ইন্টারভেনশন স্কিম এবং প্রাইস সাপোর্ট স্কিমের বরাদ্দ যা ২০২১-২২ এ ৩৫৯৫.৬১ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাই যোজনাতেও গতবছরে বরাদ্দ ছিল চারহাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে এবার অর্থাৎ ২০২২-২৩ এর বাজেটে অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে ২০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। যদিও ড্রোন ব্যবস্থার ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের দিক খুলে দেওয়ার কথা এই বাজেটে বলা হয়েছে৷